শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গুরু-শিষ্যের সংঘর্ষের নেপথ্যে ‘আধিপত্য’

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৯  

ফতুল্লা (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনার তিনদিন পরও এলাকায়ে উত্তেজনা পরিবেশ বিরাজ করছে। পাল্টাপাল্টি ভাবে হামলার ঘটনা ঘটছে। 


তবে দুই গ্রুপের প্রধানরা বর্তমানে নিশ্চুপ থাকলেও তাদের সমর্থকদের মধ্যে আরো বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। 
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি ও কাশীপুর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহীন আলমের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। শফির হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিল শাহীন আলম। 


পরবর্তিতে শাহীন আলমসহ শফি তার কর্মীদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ভাবে সুযোগ সুবিধা নিতে থাকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে শফির সঙ্গ ছেড়ে দেয় শাহীন আলম। পরিবর্তিতে শাহীন আলম নিজের বলয় তৈরী করেন। 


রাজপথে থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে শফির তুলনায় শাহীন আলমের অবস্থান শক্ত হতে শুরু করে। গত কয়েক বছর ধরেই রাজনীতির মাঠে শফি নিস্ক্রীয় থাকলেও সক্রিয় ছিলন শাহীন আলম। 


দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাতের তান্ডব রুখতে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে অবস্থান নিয়েছিলেন শাহীন আলম। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রার্থী শামীম ওসমানকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে গিয়েছেলেন তিনি। তাই রাজনৈতিক ছাড়াও সামাজিক ভাবেও তার অস্থান শক্ত হয়ে যায়।


অপরদিকে নিজের আধিপত্য ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেন শফিউল্লাহ শফি। গত কয়েক মাস ধরেই তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। পাল্টাপাল্টি তারা থানায় অভিযোগও দিয়েছিল। সম্প্রতি একে অপরকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন। 


গত দেড় মাস আগে কৌশল অবলম্বন করে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে  ফতুল্লা মডেল থানা একটি চাঁদাবাজী মামলা করেন শফি। সেই মামলায় ১০দিন কারাভোগ করেছিলেন শাহীন আলম। এতেই অনেটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন শাহীন আলম। 


তাই ক্ষোভ থেকে গত শুক্রবার দুপুরে শফির উপর হামলা চালায় শাহীন আলমের সমর্থকরা। হামলায় গুরুত্বর আহত হন শফিউল্লাহ শফি ও তার পুত্র সনম। একই দিন রাতে শাহীন আলমের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠে শফির সমর্থকদের বিরুদ্ধে।


হামলার ঘটনায় শাহীন আলমের স্ত্রী ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানাগেছে। তবে শাহীন আলমের স্ত্রীর অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ। 


অভিযোগ রয়েছে, কোন তদন্ত ছাড়াই বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে শাহীনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই গত শুক্রবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই স্থানীয়রা এই সংঘর্ষের নেপথ্যে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যকেই দায়ী করছেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর