মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

গার্মেন্ট কারাখানা ফের বন্ধ

প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার :  সকাল থেকেই দলে দলে কারখানাগুলোতে যোগ দিতে ছুটছিল পোশাক শ্রমিকরা। কেউ চাকরী হারানোর ভয়ে কেউ আবার মাস শেষ হয়েছে, বেতন পাওয়া আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছে। 


জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্ট ৩৬০টি, টেক্সটাইল ১৭৫টি, জুট মিলস ১৬টি, হোসিয়ারী ২০৭৫টি, অন্যান্য শিল্প কারখানা ৮৭০টি। আর এ সকল কারখানায় কাজ করেন প্রায় আট থেকে দশ লাখ শ্রমিক।  

কিন্তু ৪ এপ্রিল রাতে বাংলাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সংগঠনটির আওতাভুক্ত সকল কারখানা বন্ধ ঘোষণার পরও  পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী  কারখানা খোলা রাখায় কর্মস্থলে যোগ দেয় কারখানা শ্রমিকরা। 


রোববার (৫ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের কারখানাগুলো ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছে।  কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ছুটি ছিল। এরপরের বন্ধ সম্পর্কে তাদের কারখানা থেকে কিছু জানানো হয়নি। তাই তারা ছুটি শেষে করাখানায় যোগ দিচ্ছেন।

তবে খোলা কারখানাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ কারখানাগুলোই দুপুর ১টার মধ্যে ছুটি দিয়ে দিতে দেখা যায়। ফতুল্লা হাজীগঞ্জস্থ মডেল গ্রুপের গাঙ  প্রোপার্টিজ’র সামনে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হচ্ছে।

এ সময়  মডেল গ্রুপের একটি কারাখানার শ্রমিক ফতুল্লা তল্লা এলাকার বাসিন্দা মিনি বেগম জানান, কারখানা তো আজকে খোলা ছিল। তাই আসছি। মালিকরা বলছে আমগো আবার ১২ তারিখ (১২ এপ্রিল) আসতে।

আরেক শ্রমিক সুন্দরী খাতুন জানান, বেতন আগের মাসে কিছু দিছিলো। আজকে আর দেয় নাই। বলছে আবার ১২ তারিখ আসতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কারখানা শ্রমিক জানান, কারখানার নাম ভাই বলতে পারতাম না। মালিকরা জানলে চাকরী থাকবো না। আমাদের আজতে আসতে বলছিলো তাই আজকে আসছিলাম। ভাবছিলাম বেতন দিব। কিন্তু দেয় নাই। আবার কইছে ৭ তারিখে আসতে। দেখি ওই দিন কিছু দেয়নি।

এদিকে বাংলাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) প্রথম সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম যুগের চিন্তা ২৪ কে জানান, ঘোষণাটি রাতে দেয়ায় অনেক কারখানা মালিকরা বিষয়টি জানতে পারলেও শ্রমিকদের অবগত করতে পারেনি। তাছাড়া কিছু কিছু কারখানায় বেতন দেয়ার জন্যও খোলা রাখতে পারে। তবে কারখানা খোলা রাখার সংখ্যা ৫ শতাংশের বেশি হবে না।  

তিনি আরো জানান, আগামীকাল থেকে বিকেএমই’র আওতাভুক্ত সকল কারখানা বন্ধ থাকবে। আর ৭তারিখে যে সকল কারখানায় যেতে বলা হয়েছে তা শ্রমিকদের  বেতন পরিশোধের জন্য বলা হয়ে থাকতে পারে।
 

এই বিভাগের আরো খবর