শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত

গর্ভবতী নারীর পাশে কাউন্সিলর দিনা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২০  

কিসকাল ৮টা। একজন গর্ভবতী নারীর ফোন। তার কণ্ঠে কাতর মিনতি। ফোনটি এসেছে একজন নারী কাউন্সিলরের মোবাইলে। অপর প্রান্ত থেকে জানালেন তার সন্তান প্রসবের সময় হয়েছে।ন্তু লকডাউনে স্বামীর তেমন কাজকর্ম নেই। হাতে কোন টাকাও নেই। সাহায্য চাইলে নাসিক ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনার কাছে।  

 

তিনি ঐ নারীর কষ্টের কথা শুনে বৃহস্পতিবার সকালেই তার বাড়িতে ছুটে যান।  এরপর তাকে নিয়ে গিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জের সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের মালিক ও চিকিৎসক দিনার পরিচিত হওয়ায় তারাও ছিলেন আন্তরিক। শুধু সন্তান প্রসব (ডেলিভারি) করানোই নয়, কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তাঁর এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে নিরবে নিভৃতে।

 

করোনা প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর পরই সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা কাজ করেছেন মানুষের জন্য।  প্রথমে তিনি তার এলাকার মানুষের হাতে তুলে দেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক। ব্যাক্তিগত উদ্যোগে মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণও তুলে দিয়েছেন তিনি। পবর্তীতে সরকারি ত্রাণ হাতে পাওয়ার পর সেগুলোও তিনি মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকাল ৮ টার দিকে দিনার মোবাইলে একজন নারীর ফোন আসে। ঐ নারী তাকে কান্না বিজড়িত কন্ঠে জানান, তিনি সন্তান সম্ভবা। সন্তান প্রসবের সময় হয়েছে। কিন্তু লক ডাউনের কারনে তাকে সহযোগিতা করার কেউ নেই। এছাড়াও তার স্বামীরও কোন কাজ নেই। অনাগত সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখবে কীভাবে তা নিয়ে তিনি চিন্তায় আছেন বলেনও জানান। সেই নারীর ফোন পেয়ে দিনা ছুটে যান ঐ নারীর বাসায়

 

আয়েশা আক্তার দিনা দৈনিক যুগের চিন্তাকে বলেন, সকালে ঐ নারীর ফোন পেয়ে তার দেয়া   ঠিকানামতো ৮ নং ওয়ার্ডের মধুগড় এলাকায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই গর্ভবতী নারী একটি ভাড়া বাসায় থাকে। ঐ নারী তার অনাগত সন্তান যাতে পৃথিবীতে আসতে পারে সেজন্য সহযোগীতা চাচ্ছিলেন। তার আগের সন্তানও সিজার করা হয়েছে। তাই কোন বিলম্ব না করে তাকে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। 

 

তিনি আরও জানান, হাসপাতালের মালিক ডা. তাইফুর এবং তার স্ত্রীর সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তাদের মাধ্যমেই নারীকে সিজার করা হয়। সিজারের পর মা ও শিশু সুস্থ আছেন। হাসপাতলে থেকে বাড়ি যাওয়া মা ও শিশুর বাড়ি যাওয়া পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্বও তিনি বহন করবেন বলেও জানান।

এই বিভাগের আরো খবর