বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গরুর দাম জিজ্ঞাসা করার অভ্যাসটি আমার এখনো কাজ করে : শফিকুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র ঈদুল আজহা। শান্তি, সৌর্হাদ্য আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে এ উৎসব। ঈদে সব ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হওয়ার দিন। 

ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর উদ্দেশে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশুকোরবানি করা মুসলমানদের অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য। ঈদুল আজহা উদযাপন নিয়ে যুগের চিন্তা ২৪’কে  দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিছু কথা বলেছেন আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।  সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন হাকিম ভূইয়া ।

ঈদের দিন সারাটি দিন ব্যস্ততায় কাটে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার দিন  কোরবানীর গরু কোরবানি, কাটাকাটি নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তারপর বিকেল বেলা ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘুরতে বের হই এবং আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াই যাই। সেদিন মনটা খুব ভাল থাকে। ঈদে আত্মীয়-স্বজন ও সমাজবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনের জন্য ঘরোয়া পরিবেশে আলাপ-আলোচনা করতে ভালো লাগে।

কোরবানির ঈদের গরু কেনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে গরু ক্রয় কিনতে যাবো। হাটে গিয়ে কোন গরু নেই।  তখন মনে হচ্ছিল যা পাব তাই কিনবো। গরুর দাম জিজ্ঞাসা করার অভ্যাসটি আমার এখনো কাজ করে। এর সাথে সাথে কোন হাট থেকে কেনা হয়েছে তাও জিজ্ঞাসা করি। 

ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে ফেরা নিয়ে পুরোনো স্মৃতি টেনে তিনি বলেন, একবার ঈদ করতে বাড়ির পথে রওণা হলাম। ২০০৯ সালে আমি ঢাকা হইতে আমার গ্রামের বাড়ী ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানা এলাকায় ঈদ করতে গুলিস্তান হতে বাসযোগে রওয়ানা হইলে নয়াবাজার  কোরবানীর গরুর হাটে প্রায় ৫ ঘন্টা জ্যামে পড়ে ছিলাম। বাসায় ফিরতে প্রায় গভীর রাত হয়ে গিয়েছিলো। 

ঈদুল আজহার তাৎপর্য বিষয়ে  শফিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানীর ঈদের লক্ষণীয় বিষয় হলো ত্যাগ স্বীকারে অভ্যস্ত হওয়া। কারণ টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কিনে ঈদের দিন কোরবানি শেষে আত্মীয়-স্বজন ও গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যে  যে আনন্দ তা সারা বছর মনের মধ্যে ধরে রাখা। মানুষের কল্যাণে ত্যাগ স্বীকার করা।

পরিশেষে ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ শুভেচ্ছায় বলতে চাই এই ঈদ সকলের মাঝে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তি ও সম্প্রীতি। 
 

এই বিভাগের আরো খবর