বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মামলা নিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জের মোয়াজ্জেম হোসেন শাহিন নামে এক গ্যারেজ মালিককে সন্ত্রাসীরা মারধর করে ডানচোখে গুরুত্বর জখম করার ঘটনার পর ১০ দিন পার হলেও মামলা না নিয়ে উল্টো পুলিশি হয়রানীর অভিযোগের বিষয়টি শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রকাশের হওয়ার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করলেন। মামলায় অভিযুক্ত আলাউদ্দিন ভূইয়াকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। 

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ ডিসেম্ভর রাত সোয়া ৯ টায় আলাউদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে মেহেদী, হাসান, ওহাব ও সোবহান মিস্ত্রীসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন সানারপাড় পিডিকে পাম্পের পশ্চিম পাশে গ্যারেজ মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন শাহিনের উপর পূর্ব শত্রুতার জেরধরে অতর্কিত হামলা চালায়। 

 

হামলায় মোয়াজ্জেম হোসেন শাহিনের মাথায় ও ডান চোখে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ সময় হামলাকারিরা আহত শাহিনের কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৭ টাকাসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহত শাহিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয। 

 

এ দিকে এর আগে শাহীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন,  সানারপাড় পিডিকে পাম্পের পশ্চিম পাশে গাড়ী ধোয়ার একটি গ্যারেজ রয়েছে তার। গাড়ী ধোয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা সফর উদ্দিন ভূইয়ার ভাই আলাউদ্দিন ভূইয়ার সাথে একদিন তার বাক বিতন্ডা হয়।

 

পরে আলাউদ্দিন ভূইয়া নিজেই একটি গাড়ী ধোয়ার গ্যারেজ করে। এবং আমার গাড়ী ধোয়ার গ্যারেজটি বন্ধ করে দিতে বলে। কিন্তু আমি গ্যারেজ বন্ধ না করায় গত বছরের ২০ অক্টোবর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুজ্জামান আমাকে গ্যারেজ থেকে তুলে নিয়ে যায়। 

 

পরে রাতভর হাত, মুখ ও চোখ বেধে থানায় অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আমাকে চিকিৎসা দেয়।

 

এরপর আমার জ্ঞান ফিরলে উপ-পরিদর্শক সাইদুজ্জামান আমার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বলে জানায়। আমি তখন বলি আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা আছে। উপ-পরিদর্শক সাইদুজ্জামান ৭০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ভোর ৫টায় গ্যারেজে নিয়ে ছেড়ে দেয়। 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গ্যারেজটি বন্ধ না করায় গত ৩০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় আলাউদ্দিন ভূইয়াসহ তার সহযোগী ওহাব, মেহেদী, হাসানসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০’জন সন্ত্রাসী আমাকে বেধড়ক মারধর করে। সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতসহ ডান চোখে মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হই।

 

এ ঘটনায় আমি থানায় গেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক আলাউদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। প্রয়োজনে আমাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে চোখের চিকিৎসা করা হবে বলে জানায়। ওসি বলেন, অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দিলে দিতে পার। 

এই বিভাগের আরো খবর