বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

খোরশেদের ইচ্ছেতে সেই ১০ লাখ টাকা গরীবদের মধ্যে বিতরণ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২০  

করোনা মোকাবেলায় আক্রান্ত পরিবারগুলোর পাশে থেকে একের পর এক লাশ দাফন করায় বীর বাহাদুর আখ্যা দেওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের প্রতি আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ  করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। বৃহস্পতিবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে তিনি কাউন্সিলর খোরদেশের প্রতি এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ করেন।


সেলিম ওসমান বলেন, কাউন্সিলর খোরশেদ এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা সাহসিকতার সাথে মানুষের পাশে থেকে কাজ শুরু করেন। গত ২১ এপ্রিল আমি তাকে বীর বাহাদুর বলে আখ্যায়িত করে তাঁর কর্মকান্ডকে আরো ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য সম্মানী সহযোগিতা হিসেবে তাকে ১০ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এতে কাউন্সিলর খোরশেদ আমাকে পত্রিকার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি তিনি (কাউন্সিলর খোরশেদ) আমাকে বলেছেন তিনি দাফন কাফনের কাজটা নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী করবেন এবং তাকে যে সম্মানী সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম সেটা তাকে না দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করার অনুরোধ করেন। কারণ তাঁর থেকে সাধারণ মানুষের ওই সহযোগিতাটা অনেক বেশি প্রয়োজন। তার ইচ্ছা অনুসারেই আমি ওই ১০ লাখ টাকা সাধারণ মানুষের বন্টনের ব্যবস্থা করছি।

 

জনসাধারণের জন্য কাউন্সিলর খোরশেদের এমন মানবতাবোধ সত্যি প্রশংসানীয়। আমি তাকে আবারো কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তাঁর মঙ্গল কামনা করছি।


উল্লেখ্য, করোনার ভয়ে মানুষ যখন পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতেও লাশের কাছে যাচ্ছিলো না তখন কাউন্সিলর খোরশেদ অত্যন্ত সাহসিকার সাথে করোনা আক্রান্ত রোগীদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেন। শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ই নয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত মানুষের লাশের দাহ করেন তিনি।


এমতবস্থায় গত ২১ এপ্রিল ফতুল্লা এমপি সেলিম ওসমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে কাউন্সিলর খোরশেদের সাহসী কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন। তাকে বীর বাহাদুর আখ্যায়িত করে ১০ লাখ টাকা দিয়ে সম্মান ও সহযোগিতার ঘোষণা দেন।


ওই দিন এমপি সেলিম ওসমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মোট ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ২০ হাজার পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমাণ মূল্য ৯০০ টাকা করে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ডাক্তারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থায় ২০ লাখ টাকা, ৬০০ সেচ্ছাসেবীর সম্মানী বাবদ ২৮ লাখ টাকার অনুদান। ইতোমধ্যে ১১ হাজার পরিবারকে ৯৯ লাখ টাকা এবং ডাক্তারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ২০ লাখ টাকা সহ মোট ১ কোটি ১৯ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করেছেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর