শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

খাদিজা টেক্সটাইল ও মাহির ডাইং কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ) : গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকায় আড়াইহাজারে ফসলি জমিসহ বসত বাড়িতে ডাইংয়ের বিষাক্ত বর্জ্য : দূর্ভোগ শিরোনামে প্রকাশিক সংবাদের জের ধরে দুটি ডাইং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- উপজেলার বান্টি বাজার এলাকায় খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং ও মাহির ডাইং।

 
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো. মঈনুল হকের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল এ াভিযান পরিচালনা করেন। এবং এর সত্যতা পেয়েছেন ।


এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো. মঈনুল হক জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)  পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ মোতাবেক ২৪ নভেম্বর খাদিজা টেক্সটাইল ডাইংয়ের প্রোপাইটার নজরুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়। তারা কোন নোটিশের জবাব দেয়নি। 


পরে বুধবার আমরা সরজমিনে খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং ও মাহির ডাইং পরিদর্শন করেছি । তারা পরিবেশন অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ও  ইটিপি ছাড়াই চলছে এবং রঙিন বিষাক্ত পানি সরাসরি পার্শ্ববর্তী  আবাদী ফসলি জমিতে ফেলে পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে চলেছে। আমরা এই তদন্ত রির্পোটটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিবো । এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, দুই ডাইংয়ের ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যালযুক্ত পানির কারণে আমাদের এলাকার প্রায় দশবিঘা ফসলি জমি নষ্ট ও আশপাশের বসতবাড়ির মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশের পরও থেমে নেই। গাছপালা ও বায়ু দূষণ হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।


তিনি আরও বলেন, আমরা এলাকাবাসী কয়েক দফা এসব মালিকদের মৌখিকভাবে তাদের জানিয়ে কোন লাভ হয় নাই । বরং তারা উল্টো আমাদের কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ এ প্রক্রিয়া চলে আসলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। 


এদিকে এ অবস্থা যাদের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
 

এই বিভাগের আরো খবর