বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কোন অশুভ শক্তি রাসেল পার্কের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারবেনা

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : শেখ রাসেল পার্কের নিমাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা ও পার্ক নির্মাণে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে সামাজিক সংগঠন ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’ ।  

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টায়  নগরীর জিমখানা এলাকার দেওভোগ পাক্কা রোড লেকপাড়ে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সম্পাদক শ্রমিক নেতা মাহমুদ হোসেন এর সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের সভাপতি নূর উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে এই জিমখানা এলাকায় একটি পার্ক, লেক ও ঈদগাহ ময়দান প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক সংগঠন নারায়ণগঞ্জ শহর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ এর ব্যানারে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।

এমন কি ১৯৯৭ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই পতিত জমিগুলি প্লট আকারে বিক্রী করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করলে আমরা সর্ব জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা মহিউদ্দিন, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন মাহামুদ, প্যানেল চেয়ারম্যান মুরাদ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, তৈমুর আলম খন্দকার, নিজাম আলম কমিশনার, কাইয়ুম কমিশনার, আমিনুল সেক্রেটারি প্রমুখ নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি এবং মিছিল সহকারে এই মাঠে ঈদগাহ্ ময়দানের একটি সাইনবোর্ড লাগিয় দেই।

অত্যন্ত আনন্দের বিষয় বর্তমান সিটি করপোরেশনের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের স্বপ্নের সেই পার্ক লেক আজ অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আমরা মেয়র আইভীকে সাধুবাদ জানাই, কারণ তিনি শহরের একটি অস্বস্তিকর দুষ্ট ক্ষত বস্তির জায়গায় সুন্দর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে শেখ রাসেল লেক ও পার্ক নির্মাণ করছেন।

এই শেখ রাসেল লেক ও পার্ক ৩ বৎসর পূর্বে যখন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পার্ক নাম ছিল তখনও আমরা এর কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য বিশাল মানব বন্ধন করেছিলাম। আমরা মাননীয় মেয়রকে অনুরোধ রাখবো অতি দ্রুত পার্কের কাজ সমাপ্ত করে জনসাধারণের বিনোদনের জন্য খুলে দেয়া হোক। কোন অশুভ শক্তি এর বাধা সৃষ্টি করতে পারবেনা। যেকোন মুল্যে এই পার্ক আমরা রক্ষা করবো।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মন্ডলি সদস্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এড.মাহবুর রহমান মাসুম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জিমখানা বস্তিটি ছিল একটি মাদক জুয়া সহ অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া। সেই কলঙ্কিত বস্তিকে  শত বাধা উপেক্ষা করে মেয়র আইভি সাহসিকতার সঙ্গে উচ্ছেদ করে নারায়ণগঞ্জের সৌন্দয্য বৃদ্ধির জন্য এই শেখ রাসেল পার্ক নির্মান কাজ শুরু করেছেন।

অনেক গডফাদার ইতিপূর্বে এই জিমখানা বস্তি থেকে চাঁদা উত্তোলন সহ মাদক ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল, যা তিনি উৎখাত করে পরিবেশকে সুরক্ষা করছেন, এখন সময় এসেছে সিনেমায় যেমন শেষ দৃশ্যে ভিলেনের পরাজয় ঘটে, তেমনি ভাবে ভিলেনের পরাজয় অনিবার্য্য।

সাধারণ সম্পাদক জনাব নাসির উদ্দিন মন্টু বলেন, কিছু অশুভ ও অদৃশ্য শক্তি চেয়েছিল এই এলাকায় হাতিরঝিল পরিবর্তে মতিঝিল গড়ে ইট পাথরের পাহাড় গড়ে কোটি কোটি টাকা এই খান থেকে উপার্জন করবেন। নারায়ণগঞ্জের ফুসফুস বলে খ্যাত এই পার্ক যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে উহা সম্পন্ন করার জন্য তিনি সিটি কর্পোরেশনের প্রতি জোড় তাগিদ দেন। প্রয়োজনে পার্ক নির্মাণে বাধাগ্রস্থ প্রতিহত করে আগামীতে প্রয়োজনে গণ অনশন সহ বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচী প্রদান করা হবে। আমাদের সাফ কথা জান দিব, কিন্তু জমি দিব না।

আরও বক্তব্য রাখেন রমজান উল রশিদ, আনোয়ার হোসেন দেওয়ান, মনির হোসেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কমান্ডার শাহজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, দৈনিক ইয়াদ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, মাদক নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক বদরুল হক, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ জাহাঙ্গীর কবির পোকন, হাজী সেলিম হোসেন, শফিকুল ইসলাম খান, মাকিদ মুস্তাকিম শিপলু।

উপস্থিত ছিলেন হাজী আব্দুর রহমান লিটন, দৈনিক জন্মভূমি’র সম্পাদক জাফর আহম্মেদ, আব্দুল কুদ্দুস আজাদ, সাংবাদিক ইমামুল হাসান স্বপন, সাবেক কাউন্সিলর বীরমুক্তিযোদ্ধা অলি উদ্দিন ভূঁইয়া, খাজা আহাম্মেদ, আব্দুস সাত্তার ভুট্টু, ওয়াহিদুজ্জামান (জামান), এ কে আজাদ, তোফাজ্জল হোসেন, আলমগীর চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, কাদরিয়া তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, হাজী সালেহ্ মুসা, নারী নেত্রী রাশিদা বেগম, শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম, প্রণিক সভাপতি সেলিম সিদ্দিকী, রমিজ উদ্দিন রমু, জুয়েল হক, হেলিম সর্দার, কামরুজ্জামান বাবু, নূর হোসেন, হাজী ইমামুল হাসান হিমু, টিটুল, হাজী মনির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সমসের আলী মিলন, মোঃ শুক্কুর, সুলতান, জাহাঙ্গীর হোসেন সহ উপস্থিত হাজার হাজার নারায়ণগঞ্জবাসী।  

এই বিভাগের আরো খবর