বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

কোচিং করালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা : ডিসি জসিম

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৯  

যুগের চিন্তা ২৪ : স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলের টিচাররা কোচিং করালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। তবে স্কুল সময়ের বাইরে অন্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি। 


শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও নারায়ণগঞ্জের অবদান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।


জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীন বলেন, আজকে আমি ডিসি, কেউ এডিসি, কেউ শিক্ষক, কেউ অন্য অন্য কোনো পদে বসতে পেরেছেন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বলে। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জানতে হবে, বাচ্চাদের জানাতে হবে। মোস্তফা সারোয়ার, আলী আহমদ চুনকা, শামসুজ্জোহা, খাজা মহি উদ্দিন এরা কে ছিলেন আমাদের জানতে হবে। বক্তাবলীতে, পঞ্চবটিতে কি হয়েছিলো বন্দরের কোথায় বাংকার হয়েছিলো, কোন ব্রীজ মুক্তিযোদ্ধারা কেন উড়িয়ে দিয়েছিলো তা শিক্ষকরা না জানলে শিক্ষা অসমাপ্ত থেকে যায়।  

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও সংবর্ধিত ব্যাক্তিত্ব ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জের ডেপুটি কমান্ডার এডভোকেট নুরুল হুদা, আইইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সুনীল মাঝি, এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) রেহানা বেগম, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মোস্তফা।


এডভোকেট নুরুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে। পাকিস্থানীরা আমাদের বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত করতে থাকে। সরকারি উচচ পদে বাঙ্গালীদের উঠতে দিতো না। বেতনে বৈষ্যম্য করতো। শিক্ষায় বৈষম্য করতো। সব ক্ষেত্রে এই বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে জাতির জনকের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাপিয়ে পড়েছিলো।

এই বিভাগের আরো খবর