কূজন গাঁথা
প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯
সব চেনা রাস্তাগুলো মোড় নিয়েছে
অচেনা শহরের পথে,
পত্রিকার শিরোনাম আজ পাল্টে গেছে
একটি নীল আঁচলের ক্ষতে,
মনে নেই আর সেই,
অন্ধ গলির মোড়,
রেঁস্তোরার নোংরা ঘর।
ভুলে গেছি যেন,
কলেজগেটে পাহারা দেওয়া;
সেই দারোয়ানের হাতের টর্চ।
রুক্ষ ফুটপাতের উষ্ণ কংক্রিটে
এই কাফেলার শহর
এখন কারারুদ্ধ।
কলঙ্কের কালিতে পবিত্রতাও
আজ যে বড় অশুদ্ধ,
আজ তো কেউ দাঁড়িয়ে থাকে না সেই
নষ্ট হেডলাইটের নিচে।
কোনো বালিকা তো আর হারিয়ে যায় না
বিক্ষিপ্ত মিছিলের মাঝে
রাস্তা পার হতে না পারা শিশুটিও
এখন সাইকেল চালাতে জানে।
মধ্যরাতে মিটফোর্ডে দাঁড়িয়ে থাকা তনয়াও
কোন নিশ্চুপ প্রভাতে কাঁদে।
গিনেস রয় আজও গিটারে সুর তোলে
সেই বিকেল বেলাটার নামে,
তৃষ্ণার তনু উঠেছিল কেঁপে সেদিন
পরিচিত নখের আঁচড়ে
প্রতিটা মৃত্যু পাল্টে যাচ্ছে যেন অপ্রিয় পৃষ্ঠার পণ
হঠাৎ বর্ষায় হয়তো কখনো ছুঁয়ে যাবে
‘এক সন্ধ্যার শ্রাবণ।’
রাত জাগা পাখিগুলো কখন যে
পড়েছে ঘুমিয়ে,
টের তো পায় নি ভোর;
হিসেবে বিজ্ঞানের পাকা ছাত্রটিও
আজ বুঝে গেছে,
ঘোলাটে নেশার ঘোর।
আজ ভোরে হয়তো একটু দেরিতে খুলবে
কোনো মায়ের আখি,
উঠে দেখবে ছোট্ট ছেলের
হোমওয়ার্ক যে অনেকটাই বাকি।
শুধু রোকেয়া হলের তিথিই তো এখনও
খেয়াল করেনি দু’শো তিন নম্বর ঘর,
সেথায় ঝুলছে উনিশ বছরের তরুণীর
কিষাণ কালো ভর।
তারা কি এখনও পায় নি
সে ধর্ষণের কারাদণ্ড ??
ত্রিনয়নে সে দৃশ্য রেখে
তুমি কার ক্যানভাসে আঁকো ছন্দ ?
তবে মনে রেখো,
ডায়েসে ব্যক্ত সেই কিশোরের কথা,
‘আজ তো পুত্রের হাতেই ধর্ষিত হয় অয়নের মায়েরা!!’
এই তো কূজন গাঁথা।
সুমাইয়া জাহান চৌধুরী রিসা