বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কুমুদিনী র‌্যালী বাগানে ড্রেনের গ্যাস বিস্ফোরণে আহত ৪

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নগরীর খানপুর কুমদিনী র‌্যালী বাগান এলাকায় সুয়ারেজ ড্রেনে বিষাক্ত গ্যাস বিষ্ফোরণে ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সকলেই ওই এলাকার বাসিন্দা ।

 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, হযরত আলীর ছেলে রাব্বী (১২), খোকন মিয়ার মেয়ে মরিয়ম (১১), স্বামী মো. বাবু মিয়ার স্ত্রী লাকি ( ৪০) এবং শাহালমের স্ত্রী রিনা (৪০)। বিষ্ফোরণে ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। পরে মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ড্রেনের বিষাক্ত গ্যাসের আগুন নেভায়। আহতদের তাৎক্ষণিক ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

 

স্থানীয়রা জানান, খানপুর ৩০০ শয্য হাসপাতালের পূর্ব পাশ থেকে  শুরু করে কুমুদিনী বাগান পর্যন্ত ড্রেনের স্লাব উঠে যায় ও রাস্তার কিছু অংশেও ফাটল ধরে রাখা অবস্থায় ছিলো। সকালে হঠাৎ সুয়ারেজ ড্রেনে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলের একেবারে কাছে থাকা রাব্বীসহ আরো তিনজন আহত হন। রাব্বীর ডান পা আগুনে পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের ধারণা হয়তো তিতাসের গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে এঘটনা ঘটতে পারে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হাফিজুর রহমান জানান, এটি ড্রেনে বিষাক্ত গ্যাসের বিষ্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে মনে করছি। আমরা আসার পরও ড্রেন থেকে গরম  ধোঁয়া উঠতে দেখেছি।  

 

গ্যাসের পাইপ লিকেজ হয়ে এই বিষ্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয়দের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিতাসের কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য, এই বিস্ফোরণ তাদের গ্যাস পাইপ থেকে ঘটেনি। তাদের পাইপে কোন সমস্যা নাই বলেও তারা নিশ্চিত করেন।

 

তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির উপ সহকারি প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন যখন সুয়ারেজের কাজ কওে তখন তারা কোন ধরণের ছিদ্র রাখে নাই, যাতে বাতাস বের হতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন গ্যাস জমে থাকার ফলে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এবং সাথে সাথে আগুন ধরে গেছে।  পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমার  লোক দিয়ে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি কোন ধরণের গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায় নাই। এবং গ্যাসের পাইপ পুড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি।

 

এব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ জেলার উপসহকারী পরিচালক মো.আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, সুয়ারেজ ড্রেনে বদ্ধ অবস্থায় বিষাক্ত গ্যাস জমে এই বিষ্ফোরণ ও দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোন বাতাস বের হওয়ার জায়গা না থাকায় বদ্ধ সুয়ারেজ ড্রেনে হাইড্রোজেন সালফাইট ও সালফার ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়। এখানে অ্যামোনিয়াও সৃষ্টি হতে পারে। এসব গ্যাসের উপস্থিতিতে অক্সিজেনের প্রবল ঘাটতি দেখ দেয়। ফলে এরকম বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। এসব গ্যাসের উপস্থিতি সচরাচর সেপটিক ট্যাংকে থাকে। কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়ে ঢুকলে এতে দম বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ারও সম্ভবনা থাকে। আগেভাগে এসব গ্যাসের উপস্থিতি টের পাওয়া মুশকিল।    

এই বিভাগের আরো খবর