শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনায় শিশুদের যে লক্ষণ প্রকাশ পায়

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২০  

স্বাস্থ্য ডেস্ক: শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের মূল উপসর্গের মধ্যে রয়েছে তীব্র জ্বর, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এবং অনরবত কাশি। লন্ডনের গ্রেট অর্মন্ড স্ট্রিট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, এগুলো অন্যান্য সাধারণ অসুস্থতারও লক্ষণ। কারোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো, টেস্ট।


আরসিপিসিএইচ তাদের ব্যাখায় বলেছে, ‘আপনার শিশু অসুস্থ হলে তা করোনাভাইরাস জনিত অসুস্থতা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও মহামারির এ সময়ে বাড়িতে থাকার সরকারি পরামর্শ অনুসরণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আপনার সন্তান অসুস্থ বা আহত হলে কী করবেন তা নিয়ে বিভ্রান্তি হতে পারে।’


আরসিপিএইচ-এর পরামর্শ হলো, শিশুদের মধ্যে যদি নিচে উল্লেখিত উপসর্গগুলো থাকে তাহলে হাসপাতালে নেওয়া উচিত:
# ফ্যাকাশে, ত্বক লাল এবং অস্বাভাবিক ঠান্ডা অনুভব করছে।
# শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, অনিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস হচ্ছে বা কাতরাতে শুরু করেছে।
# মারাত্মক শ্বাস-প্রশ্বাস সমস্যার কারণে উত্তেজিত বা প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে উঠছে।
# অজ্ঞান হয়ে গেছে বা খিঁচুনি হচ্ছে।
# অসম্ভব ক্লান্ত, চরম বিভ্রান্ত, অলস বা প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে।
# ত্বকে অস্বাভাবিক ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে।
# অণ্ডকোষে ব্যথা রয়েছে।


শিশুর যেসব সমস্যায় হটলাইনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে
# বুকের নিচের অংশ, পাঁজরের হাড়ের মাঝখানে এবং গলার নিচের অংশ দেবে যাওয়াসহ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হচ্ছে।
# ডিহাইড্রেটেড বলে মনে হচ্ছে।
# নিস্তেজ বা খিটখিটে হয়ে উঠছে।
# চরম কাঁপুনি বা পেশী ব্যথা আছে।
# তিন মাসের কম বয়সি শিশুর ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস জ্বর রয়েছে।
# ৩ থেকে ৬ মাস বয়সি শিশুর ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি মাত্রার জ্বর রয়েছে।
# সকল বয়সি শিশুর পাঁচ দিনের বেশি সময় ধরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি মাত্রার জ্বর রয়েছে।
# অবিরাম বমি এবং পেটে তীব্র ব্যথা রয়েছে।
# প্রস্রাব বা পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে।
# অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আঘাত পেয়েছে, মাথার আঘাতের কারণে থমকে গেছে, অবিরাম কান্না করছে, অস্বাভাবিক পরিমাণ ঘুমাচ্ছে।
# শিশুর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে বা আপনি যদি উদ্বিগ্ন বোধ করেন।

সন্তানের যত্ন যখন বাড়িতে নেবেন: উপরে উল্লিখিত সমস্যাগুলো না হলে বাড়িতেই আপনার সন্তানের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আরসিপিএইচ। তাঁদের মতে, ‘বাড়িতেই আপনার সন্তানের যত্ন নেওয়া চালিয়ে যান। আর সন্তানের বিষয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করলে জরুরি নম্বরে ফোন করুন।’
 

এই বিভাগের আরো খবর