বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

করোনার খবর পাননি যুক্তরাজ্যের দম্পত্তি

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২০  

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সকল দেশের দুশ্চিন্তার কারণ হলো মহামারি করোনাভাইরাস। বিশ্বের তাবৎ সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পার্লামেন্ট সর্বত্র; সবার মুখে এই আলোচনা। শুনে অবাক হবেন যুক্তরাজ্যের এক দম্পত্তি জানেনই না এ মহামারির খবর। 


ওই দম্পতির নাম রায়ান অসবোর্ন ও ইলোনা ম্যানহিগিতি। বসবাস যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টারে। দুজনেরই শখ ভ্রমণ করা। নিজেদের এই শখ বজায় রাখতে ২০১৭ সালে তারা চাকরি ছেড়ে দেন। সময় করে লম্বা সফরে বেরিয়ে পড়েন দুজন। সাগরে ভেসে বিশ্বভ্রমণ করা তাদের উদ্দেশ্য।


গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তারা স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে ইয়টে করে সমুদ্র যাত্রায় বের হন। উদ্দেশ্য আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানো। যাত্রা শুরুর সময় তারা শুধু জানতেন চীনের উহানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ তখনও ইউরোপে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়নি।


২৫ দিনের যাত্রা শেষে তারা ক্যারিবিয়ান উপকূলে একটি ছোট দ্বীপে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপকূল থেকে তাদের জানানো হয়, করোনা মহামারির কারণে গোটা দ্বীপ লকডাউন করা হয়েছে। এ খবর শুনে তারা হতবাক! তাদের ধারণাই ছিল না, করোনা এভাবে এতো দ্রুত চীন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে মহামারি সৃষ্টি করতে পারে। 


তীরে ভিড়তে না পেরে তারা এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বন্ধু তাদের জানান, করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা ইউরোপ লকডাউনের মধ্যে রয়েছে।  চীন, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। এই খবরে তারা হতবাক হয়ে পড়েন। দ্রুত তারা যোগাযোগ করেন পরিবারের সঙ্গে। পরিবার থেকে জানানো হয়, করোনা কেড়ে নিয়েছে তাদের অনেক আপনজনকে।


বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলেনা ম্যানহিগিতি বলেন, করোনাভাইরাস ও ঝড়ের মধ্যে আমরা স্যান্ডউইচের মতো জীবনযাপন করছি।
 

এই বিভাগের আরো খবর