শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনা ভাইরাস নির্ণয়ের পরীক্ষাগার দাবি এবি সিদ্দিক’র (ভিডিও) 

প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক বলেন, নারারণগঞ্জ দেশের অতি গুরত্বপূর্ণ শহর। সরকারের নিকট নারায়ণগঞ্জে অতি দ্রুত একটি করোনা রোগের পরীক্ষাগার তৈরীর দাবি জানাচ্ছি। এ জেলায় অনেক মিল-ফ্যাক্টরি রয়েছে। অনেক মানুষের সমাগম এখানে। 

 

সেই সাথে দ্রুত এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সকল সহায়ক পরিস্থিতি বিরাজমান। সেখানে এই ভাইরাসের রোগীর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই এমনকি নমুনা পরীক্ষার কীট নেই। সরকার কেন এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সেটাই বোধগম্য নয়। 

 

রবিবার (৫ এপ্রিল) যুগের চিন্তা’র টক শো অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রতিরোধ সম্পৃক্ত আলোচনায় এসব মন্তব্য উঠে আসে আলোচকের কাছ থেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন চ্যানেল আই এর বিশেষ প্রতিনিধি মোরছালিন বাবলা। 

 

নারায়ণগঞ্জে হঠাৎ করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাওয়ার কারণ দেখিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভাইরাসের বিষয়ে সচেতন না। যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই মানছেন না। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ বাণিজ্যিক শহর । 

 

স্থানীয় এলাকার বাহিরেও অন্য অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে এসে সমাগম হয়। সরকারি প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অন্যান্য জেলায় সার্বিকভাবে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে নারায়ণগঞ্জকে সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এটাই হটাৎ করে রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিও প্রধান কারণ বলে মনে হচ্ছে।  


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে লকডাউন কিংবা কারফিউ জারির করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পূর্বেই মনে হইছে নারায়ণগঞ্জে রোগীর প্রকৃত সংখ্যাটা নির্ধারন করতে পারছি না। এখানে শিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম। 


শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে পরীক্ষাগার করে করোনা ভাইরাস নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে অনেক আগেই আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা বের হতো। প্রশাসনের ব্যবস্থা ও সিটি করপোরেশন এখন যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাচ্ছে সেটা আগেই নিয়ে নেওয়া হতো।


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দাবির সহমত জানিয়ে তিনি বলেন, নাসিক মেয়র এখন যে পদক্ষেপ জানিয়েছেন সেটা খুবই ভালো। কিন্তু এই পদক্ষেপ আরো আগেই নেওয়া দরকার ছিল। তবে সক্রিয় হওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ। তার দাবি সরকারের দ্রুত দেখতে হবে। নারায়ণগঞ্জ শিল্প নগরী। করোনার আতঙ্ক বাড়লে নারায়ণগঞ্জের শিল্পেও ব্যাপক প্রভাব পড়বে।  


জেলার জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে হটাৎ দুইদিনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনও সক্রিয় হয়েছে তবে প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দ্রুত বাড়াতে হবে। এছাড়া কোন বিকল্প নেই। জনপ্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে হবে।

 

নারায়ণগঞ্জের  করোনা  আক্রান্ত ডাক্তারের প্রসঙ্গে বলেন, নারায়ণগঞ্জের করোনায় যে ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন তিনি জেলাজুড়ে যথেষ্ট সুপরিচিত। তিনি অনেকদিন পূর্বে সংক্রামিত হলেও বিষয়টি তার বিল্ডিংএর কেউ জানেন না। যার ফলে এখন তার বাড়ির মানুষও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। 


আবার বাংলাবাজার এলাকায় আরেকজনের  মৃত্যুর পর বিষয় দুটি একসাথে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারনে মানুষের মাঝে আতঙ্ক অনেক বেড়ে গেছে।


শিক্ষিত সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ অনেক আবেগ প্রবণ মানুষ। নিষিদ্ধ ঘোষনা করার পরেও সমাজের মানুষ একে অপরের দেখা সাক্ষাত করছে ।  এক্ষেত্রে শিক্ষিত সমাজকে আরো সচেতন হতে হবে।
 

এই বিভাগের আরো খবর