শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

যুগের চিন্তা’র টকশো

করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম (ভিডিও)

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার :  করোনা ভাইরাস মোকবেলা ও প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নানা উদ্যোগ নিয়ে কথা হয় যুগের চিন্তার টক শোতে।


করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাকছুদুল আলম খোরশেদ জানান, গত  ১০ মার্চ থেকে  জনগণকে সচেতন করার জন্য শহরের ২০ হাজার লিফলেট বিতরণ ও  ওয়ার্ডেও সকল মসজিদে জুম্মার খুতবায় জনগণকে সচেতন করার জন্য এ বিষয়ে আলোচনা আহ্বান জানাই। 


বুধবার (১ এপ্রিল) যুগের চিন্তা’র এর স্বাস্থ্য বিষয়ক টক শো অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় ১৩ নং ওয়ার্ডের সার্বিক চিত্র  উঠে আসে আলোচকের কাছ থেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন চ্যানেল আই এর বিশেষ প্রতিনিধি মোরসালিন বাবলা।   
 

আপনি কেন এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করলেন?

১৮ মার্চ করোনার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে শহরে স্যানিটাইজার সংকট দেখা যায়। ওই দিন বিকেলেই বাজারে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহের জন্য গেলে দেখতে পেলাম যে বাজারে কোনো স্যানিটাইজার নেই বা যতটুকু আছে তার দামও অনেক বেশি। 

ওই সময়েই আমি বিদ্যানন্দন ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে স্যানিটাইজার বানানোর জন্য ফর্মূলা সংগ্রহ করি। 


সেদিন থেকেই কিছু স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে স্যানিটাইজার বানানো শুরু করি এবং বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বেসিন বসিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করি।


এদিকে হ্যান্ড স্যানেটাইজার তৈরীর শুরু করার পর থেকে  নারায়ণগঞ্জজুড়ে বেশ সাড়া পায়। অনেক বিত্তবান লোকেরাও আমাদের কাছ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংগ্রহ শুরু করে। 

১৮ মার্চ বিকেল থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত এ ১০ দিনের প্রতিদিনই প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংগ্রহ করতে থাকে মানুষ।

এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার শুধু আমার এলাকার মানুষ নয় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংগ্রহ শুরু করে। চাহিদা অনুসাওে আমরা ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার বোতল স্যানিটাইজার তৈরী করেছি।

গত ২৫ মার্চ থেকে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিম  বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা এ স্যানিটাইজার বিতরণ করে। আমরা বিশ্বাস করি যে নারায়ণগঞ্জের ৮০ ভাগ মানুষের কাছে আমরা এ স্যানিটাইজার বিতরণ করে দিতে পেরেছি।


এখন আমরা চেষ্টা করছি শ্রমজীবি ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য। এছাড়া প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় সচেতনাতামূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

ইতিমধ্যেই আমার নেতৃত্বে  ১৩ নং ওয়ার্ডে একটি টিম গঠন করা হয়েছে এবং পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক,সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন করেছি। আমরা গণমাধ্যমগুলোতে দেখতে পাচ্ছি  যে করোনা আক্রান্ত কেউ মারা গেলে তাদের দাফন বা সৎকার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।  

তাই এখন প্রশাসন যদি আমাদের অনুমতি দেয়  এবং দাফনকার্যে ব্যবহৃত পিপিই  দিয়ে সহযোগীতা করে  তাহলে আমরা আমাদের স্বেচ্ছাশ্রমে এ কাজটি নিজ দায়িত্বে করতে চাই।

আপনার এলাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব কেমন  এবং তারা কি ধরণের পেশার সাথে জড়িত?

আমাদের এলাকায় অন্যান্য এলাকার তুলনায় জনসংখ্যার হার বেশি। শুধুমাত্র তালিকাভুক্ত ভোটারই রয়েছে এখানে ১৮ হাজারেরও বেশি। আর মানুষ বাস করে ২ থেকে ৩ লাখের বেশি। 


এর কারণ আমাদের ওয়ার্ডে রয়েছে বিসিক, মাসদাইর, গলাচিপা, জামতলা, আমলাপাড়া তারপর কুমুদিনী বাগান এবং পাকিস্তানীদের আটকে পড়া দুটি রিফিউজি ক্যাম্প রয়েছে আমাদের ওয়ার্ডে। 

আমাদের এ ওয়ার্ডে বিত্তবান বা ধনী শ্রেণীর লোক রয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের মত। আর বাকিরা অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ গার্মেন্টস শ্রমিক,দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সংখ্যাই আমাদের মাঝে বেশি।


এ সকল খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিনা?

আমরা এখনও ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি। তবে সাধ্যমত দেয়ার চেষ্টা করছি। কারণ আমি ১৭ বছর যাবৎ কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। 


প্রতিবছরই আমার এলাকার বিত্তবানদেও কাছ থেকে  আমার এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য যাকাত সংগ্রহ করি। সেই হিসেবে আমরা কাছে একটি হিসেব রয়েছে। 

আমার এলাকায় এরকম প্রায় ৪ হাজার পরিবার রয়েছে যাদের বাড়ি বাড়িতে খাবার দেয়া দরকার। পাশাপাশি  এখন আরো ১ হাজার মানুষ হিসেবে বেশি ধরা হয়েছে যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত। সর্বোমোট আমরা ১৩ নং ওয়ার্ডে ৫ হাজার মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে।


তিনি আরো জানান, এখন সরকারি সহায়তার অপেক্ষায় আছি। পাশাপাশি জেলার আমার যারা শুভাকাঙ্খি রয়েছে তাদের কাছ থেকে খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করছি। 

আমরা নগদ কোনো অর্থ গ্রহণ করছি না। আমরা এ মাসের ৮,৯ তারিখ ৫ হাজার এবং পরে রোজার মাসে আরো ৫ হাজারসহ মোট ১০ হাজার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করব।

আমাদের এবারের টার্গেট মূলত যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত। কারণ নিম্নবিত্ত যারা রয়েছে তারা ইতিমধ্যেই সহযোগীতা পেয়েছে। কিন্তু যারা নিম্নবিত্ত,খেটে খাওয়া,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছে তারা পাচ্ছে না। আমি দেখেছি ফুটপাতে হকার ব্যবসায় করে যাদের অনেকেরই মাসে আয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। 

কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তারা এখন আয়হীন হয়ে পড়েছে  বড় বড় বাড়িতে  ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকলেও অথচ তাদের ঘরে কোনো খাবার নেই। এবারে আমাদের টার্গেট থাকবে এ পরিবারগুলোতে।
 
করোনা ভাইরাস মোকবেলায় এলাকার মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য আর কি কি পদক্ষেপ  গ্রহণ করছেন?

আমরা স্বেচ্ছাসেবী টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা ও প্রতিটি পরিবারের জন্য জীবানুনাশক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড লিকুয়েইড ২০০ মিলি করে বিতরণ করছি। 


পাশাপাশি মসজিদে  মসজিদে প্রতি ওয়াক্তে ইমাম সাহেবদের সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য বলছি। যাতে সাধারণ মানুষ সাধারণ সতর্কতাটুকু পালন করে। 

মানুষ যেন কিছুক্ষণ পর পর হাত পরিস্কার করে এবং হাত না ধুয়ে কোনো কাজ না করে। আর হাত ধোয়ার জন্য শুধু  স্যানিটাইজারাই লাগবে বিষয়টা তা নয়। 


স্যানিটাইজার ছাড়াও সাবান পানি বা সাবানে ব্যবস্থা না থাকলেও গরম পানি বা বালিতে হাত ঘষে নিয়েও পানিতে হাত ধুঁয়ে নিতে পারে।  এছাড়া কেউ যাতে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাতে বের না হয়।  

তিনি আরো জানান, সমস্যা হচ্ছে মানুষকে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা বাড়ির বাইরে বের হওয়া বন্ধ করছে না। পাড়া-মহল্লাগুলোতে চায়ের দোকানে দোকানে মানুষ আড্ডা দিচ্ছে। এ চা,সিগারেটের দোকানগুলো কিন্তু করোনা সংক্রমণের প্রধাণ কারণ হতে পারে। 


কারণ একটা সিগারেটের দোকানদার তার হাতে প্রতিদিন পাঁচশ মানুষের সাথে লেনদেন করছে। সে যদি এ ভাইরাসে আক্রান্ত থাকে আর  তার হাত থেকে কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি সিগারেট কিনে খায় তাহলে কিন্তু এ তার দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 তো আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি পাড়া,মহল্লা বিশেষ করে মাঠগুলোতে জনসমাগম বন্ধ রাখতে। যদিও আমাদের নির্দিষ্ট কোনো মাঠ নেই। তবে যে সকল জায়গায় খেলাধূলা করা হয় এ সকল জায়গা আমরা বন্ধ রাখার চেষ্টা করছি।

সাধারণ মানুষ কতটুকু সচেতন বলে আপনি মনে করছেন?

মানুষ মূলত করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাইছে না। আমার মনে হয় আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মূল ছবিটা আমার জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারছি না। 

জনগণের মাঝে সচেতনতার পাশাপাশি  এ বিষয়গুলোর মূল বিষয়গুলো এবং ঘটমান বিষয়গুলো উল্লেখ করা দরকার। মানুষকে ঘরে রাখার ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনকে আরো কঠিন হওয়া দরকার।

কিন্তু তাই বলে রিকশাওয়ালা, দিনমজুরদের মারধর করতে হবে বিষয়টি তা নয়। কিন্তু পাড়া মহল্লায় পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম নিযুক্ত করা এবং তাদের সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।


আপনার এলাকার মানুষকে সচেতন করার জন্য আপনি আর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?

শুধুমাত্র আইন করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশের মানুষের আইনের প্রতি সম্মান নাই। ফলে মানুষ জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তা মানতে নারাজ। 


আমি মনে করি শুধু রোজাগার ছাড়া অন্য কোনো কারণে বাড়ি থেকে যাতে বের না হয়। আমরা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিশেষ করে অভিভাবকদের সচেতন করছি। যাতে তারা তাদের ছেলে মেয়েদের বাড়ির বাইরে বের না হতে না দেয়। মূলকথা আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যাতে মানুষ ঘর থেকে বের না হয়।

এটাই আমাদের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত। এইটাই আমাদের সুযোগ কোনো কাজ না করে দেশ রাষ্ট্র,জাতিকে সহযোগিতা করার। আপনি ৭১এ দেশ রক্ষায় রাইফেল,বন্দুক হাতে মাঠে যুদ্ধ করেছেন কিন্তু এখন শুধু আপনি ঘরে থেকে দেশ  রক্ষায় কাজ করতে পারছেন। 


৭১ এ ছিলো অস্ত্র আর এখন আমাদের আত্মরক্ষা ও দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য ঘরে থাকা প্রয়োজন। আমার মনে হয় আমাদের পাশাপাশি প্রশাসনের আরো কঠোর হওয়ার প্রয়োজন।


আপনার এই ব্যক্তিগত উদ্যোগে সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে কতটুকু সহযোগিতা পাচ্ছেন?
অনেকেই আছেন যারা আমাকে সহযোগিতা করছে এবং অনেকেই করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। 

তবে অনেকেই আমাকে সহযোগিতার আশ্বাসের পাশাপাশি উৎসাহিত করছেন। তাদের দেয়ার চেয়ে আমার কাছে তাদের পজেটিভ যে মনোভাব আমার জন্য বেশি জরুরী। কারণ আর্থিক বা অন্য সহযোগিতার চেয়ে আমাদের যে উৎসাহ দেয় তাহলে আমার।

করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?

গতবার  ডেঙ্গু আমাদের দেশে যে মহমারী আকার ধারণ করেছিলো তা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যেই  ডেঙ্গু প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার ঔষুধ দেয়ার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট  টিম গঠন করে দিয়েছে। 


আমরা পর্যায়ক্রমে ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ৭০ বাড়িতে বিশেষ করে বাড়ির ছাদগুলোতে মশার ঔষুধ দেয়ার কাজ করেছিলাম। তবে এ মুহূর্তে করোনার জন্য কাজটি বন্ধ আছে। তবে আমরা মশার ঔষুধ ছিটাচ্ছি।  পাশাপাশি ভলিন্টিয়ার যারা কাজ করছে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি আমরা এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে পারবো।

করোনার এই সময়টায় সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে এখন কোনো  কিস্তি আদায় করা যাবে না? এ বিষয়ে আপনার এলাকায়  কি ধরণের ব্যবস্থা করছেন?

ইতিমধ্যেই আমরা বিভিন্ন এনজিও,সংস্থাগুলোতে ইনফোর্ম করেছি। তবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করছি ৫হাজার টাকার মধ্যে যে লোনগুলো রয়েছে এবং  সুদ যাতে  শতভাগ মওকুফ করে দেয়। 

এছাড়া ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা উপরে যে কিস্তি রয়েছে সেগুলো পরিশোধের জন্য যাতে কমপক্ষে ৬ মাসের সময় দেয়া হয়।  এনজিওগুলোর যাতে কোনো ক্ষতি না হয় তার সাথে সাথে সাধারণ মানুষও যাতে ভুক্তভোগী না হয় সে ব্যাপারে আমরা নজর রাখছি।


সবশেষ  তিনি গরীব-দুঃস্থ পরিবারগুলোর দিকে  সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিটি বিত্তবানের আমার একটাই দাবি তারা যাতে ১৫ দিন করে কমপক্ষে একটি পরিবারের দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর