শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কমরেড সুনীল রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বৃটিশবিরোধী আন্দেলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও এদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন কমরেড সুনীল রায়। আজ তাঁর রায়ের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।


কমরেড সুনীল রায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শহরের মাসদাইর শ্মশানে তাঁর স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান-বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রিয় কমিটি, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটি, সিপিবি জেলা নারী সেল, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, খেলাঘর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সমমনা, প্রগতি লেখক সংঘ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন ও  নেতৃবৃন্দ।


শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য এড. মন্টু ঘোষ, জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিমল কান্তি দাস এবং খেলাঘর জেলার সভাপতি রথিন চক্রবর্তী।


আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সুনীল রায় খুব ছোট বেলায় শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। একই সাথে তিনি বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে  কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন। বৃটিশ আমল ও পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ অনেক বছর তিনি জেলে কাটিয়েছেন।


বক্তারা উল্লেখ করেন, ৭১এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন একজন অন্যতম সংগঠক। তার হাত ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার শত শত যুবক মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি ছিলেন চিরকুমার ও আজীবন বিপ্লবী। ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরে তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রিয় প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার হাত ধরে অনেকেই বিপ্লবী রাজনীতিতে এসেছিলেন। 


কমরেড সুনীল রায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা আরও বলেন, তিনি আমাদের কাছে এক অনুপ্রেরণা। পৃথিবীতে আজ সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের অবস্থান অনেকাংশেই অনুপস্থিত, কিন্তু সমাজতন্ত্রের লড়াই দেশে দেশে অব্যাহত আছে। সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদী মতবাদের সঠিকতা বারেবারে প্রমাণিত হচ্ছে। আগামী দিনের সে লড়াই অগ্রসর করতে নেতা কর্মীদের কমরেড সুনীল রায়ের মত ত্যাগী ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।


বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ জেলার নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা কমিটির নেত্রী রাশিদা বেগম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর