বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কমরেড মিলুর মৃত্যুতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের শোকসভা

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ(স্কপ) এর অন্যতম শীর্ষ নেতা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জাহেদুল হক মিলুর মৃত্যুতে শোকসভা করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। শুক্রবার বিকেলে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

র্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফ সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, খোরশেদ আলম। সভার শুরুতে  সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, ব্যক্তিগত জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ অর্জনের পথে না গিয়ে কমরেড জাহেদুল হক মিলু মেহনতি মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকেই জীবনের ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আজীবন তিনি শোষণ মুক্ত বাংলাদেশ তথা সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন।

 বাংলাদেশে শ্রেণি সচেতন বিপ্লবী ধারার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন গড়ে তোলার সংগ্রামে আজীবন নিয়োজিত ছিলেন কমরেড জাহেদুল হক মিলু। কখনো স’ মিল শ্রমিক, কখনো তাত শ্রমিক, চা শ্রমিক, গার্মেন্টস, রি-রোলিং, পাদুকা, পরিবহন, মোটর মেকানিক্স, নির্মাণ, হালকা যানবাহনসহ এমন কোন শ্রমিক আন্দোলন নেই যেখানে কমরেড মিলু ছিলেন না। 

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়নের সংগ্রাম, ন্যায্য মজুরির সংগ্রাম, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সব ক্ষেত্রেই কমরেড মিলু ছিলেন সামনের সারির নেতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনেই তাঁর সংগ্রামী পদচারণা ছিল। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের লড়াই সংগ্রামের মধ্যেই কমরেড জাহেদুল হক মিলু বেঁচে থাকবেন।

উল্লেখ্য, কমরেড জাহেদুল হক মিলু দলের সাংগঠনিক কাজে গত ১৩ মে উলিপুর থেকে কুড়িগ্রাম জেলা সদরে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন। প্রথমে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। 

১৪ মে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ১৭ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১৫ মে থেকে তাঁকে আইসিইউ-র চিকিৎসা দেয়া হয়। দীর্ঘ ৩২ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ১৩ জুন ২০১৮ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এই বিভাগের আরো খবর