বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ, শীতের সবজিতে কিছুটা স্বস্তি

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বাজারে পেঁয়াজর দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে দামের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসছে শীতের সবজিতে। গত সপ্তাহ জুড়ে পেঁয়াজের বাজারে ছিল অস্থিরতা এবং  শীতকালীন সবজির বাজারেও ছিল আগুন।

 

বাজারে এখন প্রতি কেজি আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা দরে যা গত সপতাহে ছিল ২০০-২২০ টাকা। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা দরে যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০। চায়না থেকে আমদানীকৃত সবজি পেঁয়াজ নামে পরিচিত এক ধরনের বড় আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে। পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে।

 

শহরের মীর জুমলা রোডের একজন পাইকারী বিক্রেতা জানান, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করায় এবং দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু কারায় এর দাম ছিুটা কমতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে এর দাম আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

 

তবে দাম কমলেও এ দামের উপর স্বস্তি প্রাকাশ করেনি ক্রেতা সাধারণ। সৈয়দপুর থেকে দিগু বাবুর বাজারে বাজারে করতে আসা শাওন নামের একজনের সাথে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম কমেছে ঠিকই কিন্তু তার পরেও দাম বেশি। কারণ গত বছর এই সময় বাজারে পেঁয়াজ ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। এখন সে হিসেবে হিসাব করে দেখুন দাম কম না বেশি।

 

বাজারে দেখা যায, ফুলকপি ও বাাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিপিস ৩০-৫০ টাকাদরে যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা করে । লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা দরে যা গত ৫০-৮০ টাকা। শসা, গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ যা গত সপ্তেিহ ছিল ৮০-৯০ এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৮০ টাকাদরে যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা দরে।

 

তবে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আটা ও ময়দা ও ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার পরে আর কমেনি। তা পূর্বের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি ভালে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা মিনিকেট ৪৫-৫০ টাকা এবং মোটা চাল ৩৫-৪০ টাকা।

 

শহরের পালপাড়ার বাসিন্দা সুমন নামের একজন বলেন, দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে কিছুটা কমলে এটাকে কম বলা চলে না। বরং এখন বাজারে সব কিছুর দামই বেশি রয়েছে। শুধু পেঁয়াজ না অন্যান্য সবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমলেও তা গত বছরের তুলনায় বেশি রয়েছে। তাই বাজারে আমরা এখন অস্বস্তিতে রয়েছি।গত বছরের এ সময়ের তুলনায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দামও বেশ বাড়তি রয়েছে।

 

বাজারে ঘুরে দেখা গেছে পেঁপে, কাঁচকলা, কুমরা, লাল শাকসহ সব সময় পাওয় যায় এমন কিছু শাক-সবজির দামও কিছুটা কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ১৫-২০ টাকা, করল্লা ও কাকরোল প্রতি কেজি ৪০-৬০ টাকা, পোটল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, বটবটি প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, কুমরা প্রতি পিস আকার ভেদে ৪০-৫০ টাকা, লাল শাক ও পালং শাক প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকা এবং ডাটা প্রতি আঁটি ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

                                       

সবজির পাশাপাশি কমেছে কাঁচা মরিচের ঝাল ও ধনে পাতার ঘ্রাণ। প্রতি কেজি কাঁচা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। এবং ধনে পাতার কেজি পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে।

 

গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে হালি প্রতি ১-২ টাকা কমেছে ডিমের দাম। বাজারে এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকা হালি দরে যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৪-৩৬ টাকা

 

বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে মাংস ও মাছের দাম। শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৩০-৪৫০ টাকা। প্রতিটি হাঁস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-১০০০ টাকা।

 

শহরের ৫নং মাছ ঘাটের বাজারসহ দিগুবাবুর বাজার, কালির বাজার, বাবুরাইল বউ বাজার এবং খানপুর বউ বাজারসহ বাজারগুলেতে প্রচুর মাছের সরবরাহ রয়েছে। আকার ও বাজারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৬৫০ টাকা, কাতলা ও মৃগেল মাছ ৩০০-৬০০টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১১০-১৪০টাকা, কই মাছ ১৪০-১৮০, তেলাপিয়া মাছ ১৩০-১৭০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০-১২০০ টাকা।

 

বর্তমানে বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।প্রতিটি ১কেজি ওজনের কম-বেশি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৮৫০ টাকা কেজি দরে।তবে হালিতেও বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ।আকারভেদে ১হালি ইলিশ মাছ ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর