কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাাহ আর নেই
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৯
বিনোদন রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ আর নেই (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শনিবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত ১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন ও গীতিকার-গায়ক শফিক তুহিন গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শওকত আলী ইমন জানান, ‘আমি একটু আগেই খবরটা পেলাম। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। বাসাতেই ছিলেন। উনার মৃত্যু একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনে দিল। তার জন্য দোয়া চাই সবার কাছে।’
একুশে পদকজয়ী শাহনাজ রহমতুল্লাহর জন্ম ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি। তার বাবা এম ফজলুল হক এবং মা আসিয়া হক। মায়ের হাতেই ছোটবেলায় শাহনাজের গানের হাতেখড়ি।
মাত্র ১১ বছর বয়সে রেডিও এবং চলচ্চিত্রের গানে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচি টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন। গান শিখেছেন গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে। পাকিস্তান আমলে রেডিওতে তার নাম বলা হতো শাহনাজ বেগম।
১৯৬৪ সালে টিভিতে প্রথম গান করেন। সে হিসাবে সংগীত শিল্পী হিসাবে তার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয় ২০১৪ সালে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের ক্যারিয়ারে ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘কে যেন সোনার কাঠি’, ‘মানিক সে তো মানিক নয়’, ‘যদি চোখের দৃষ্টি’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘খোলা জানালা’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘আরও কিছু দাও না’, ‘একটি কুসুম তুলে নিয়েছি’এ রকম অসংখ্য গান দিয়ে শাহনাজ রহমতউল্লাহ বাংলাদেশের অগণিত শ্রোতার মন জয় করেছেন।
বিবিসি এক জরিপে সর্বকালের সেরা কুড়িটি বাংলা গানের তালিকায় তার গাওয়া চারটি গান রয়েছে। বছর সাতেক আগে হঠাৎ গান ছেড়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। বাইরে আসতেন না খুব একটা। নামাজ-কোরআনের সঙ্গেই কেটেছে তার জীবনের শেষ দিনগুলো।
শাহনাজ রহমতউল্লাহকে ১৯৯২ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে ‘ছুটির ফাঁদে’ ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়া ২০১৬ সালে ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ আয়োজনে আজীবন সম্মাননা, ২০১৩ সালে সিটি ব্যাংক থেকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে। এ ছাড়া গান গেয়ে আরও অসংখ্য পুরস্কার আর সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
শাহনাজ রহমতুল্লাহর মেয়ে সিনথিয়া থাকেন লন্ডনে। আর একমাত্র ছেলে ফয়সাল যুক্তরাষ্ট্রের এক ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করে এখন কানাডা প্রবাসী। তিনি রাজধানীর বারিধারা বাসায় থাকতেন। তার বড় ভাই সুরকার আনোয়ার পারভেজ ও ছোট ভাই প্রয়াত চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল।
শাহনাজ রহমতউল্লাহকে (রোববার ২৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে বাদ জোহর জানাজা হবে বারিধারার ৯ নম্বর রোডের পার্ক মসজিদে। গতকাল শনিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর স্বামী মেজর (অব.) আবুল বাশার রহমতউল্লাহ।
- দেবীর সাজে নারায়ণগঞ্জে অপু বিশ্বাস
- সালমানের গোপন স্ত্রী ভারতী !
- নোবেলের মতো রকস্টারের সঙ্গে গান গাইতে পারাটা আমার সৌভাগ্য হবে
- সালমানের ‘ভালবাসা’ চলে গেলো পরপারে
- রূপগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় গোলাগুলি !
- শহীদ মিনারে চাইনা,মসজিদের পাশে চাই: কনক চাঁপা
- সালমানের প্রথম প্রেমিকার মেয়ে বলিউড নায়িকা !
- মায়ের পাশে আজ শায়িত করা হবে আইয়ুব বাচ্চুকে
- নিকের জুতা লুকাতে ৫ মিলিয়ন চেয়েছেন পরিণীতি, মিলছে....
- বিয়ে করেছেন হ্যারি পটারের সেই বাংলাদেশি অভিনেত্রী (ছবি সহ)
- কিডন্যাপ হয়েছেন অভিনেত্রী তিশা !
- ছেলের নাম রাখলেন শাহিদ
- এমপি হতে চান হিরো আলম, গুজব নয় সত্যি !
- ভাবতাম নারায়ণগঞ্জ অনেক দূরে, অথচ মাত্র ৩০ মিনিটের পথ : অমিত হাসান
- সালমান মুক্তাদির আটক