এমপি সেলিম ওসমানের দেয়া চাল বিতরণ করলেন কাউন্সিলর শওকত

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের নিজ তহবিল থেকে কর্মহারা পরিবারদের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কাউন্সিলর কার্যালয়ের মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রথম দিনের বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে শওকত হোসেন শকু বলেন, এই খাবারগুলো বিতরণ করা হয়েছে শুধুমাত্র যারা বেকারগ্রস্ত হয়েছে এবং যারা গরীব ও অসহায় পড়েছে। যে পর্যন্ত আমি সুস্থ আছি আল্লাহর রহমতে আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি ফগার মেশিন মশার ওষুধ স্প্রে করেছি। এভাবে আমাদের নানা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

তিনি জানান, খানপুর ব্রাঞ্চ রোড ও মহসিন ক্লাব এলাকায় কর্মহারা পরিবারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান খুব আন্তরিক ও হৃদয়বান মানুষ। নাসিক ১২নং ওয়ার্ড তার নিজের ওয়ার্ড, সেই কারণে তিনি যেভাবে আন্তরিকভাবে চাল দিয়েছে । সেই ভাবে আজ খানপুর ব্রাঞ্চ রোড ও মহসিন ক্লাব এলাকা, কাল বাগে জান্নাত মসজিদ এলাকা ও মিশনপাড়া, পরশু উত্তর চাষাড়া, পরে চাঁনমারী ও ইসদাইর, ডনচেম্বার এলাকায় বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, এমপি সেলিম ওসমান নাসিকের শহর এলাকার অন্যতম ১২নং ওয়ার্ডের নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বেকার হয়ে দিশেহারা খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৭ হাজার কেজি চাল করাদ্দ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমপি সেলিম ওসমানের নিদের্শনায় এলাকার হতদরিদ্র মানুষদের সেই অনুযায়ী প্রত্যেকের ঘরে ঘরে চাল পৌঁছে দেয়া হবে।

মঙ্গলবার ৩১ মার্চ এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৭টি ওয়ার্ডের মোট ৮জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৯৬০ বস্তায় (৪৮ হাজার কেজি) ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় বিতরণের জন্য পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বের মহামারী করোনা ভাইরাস যখন চিন্তিত, তখন এর রোগের প্রতিরোধে জনগণের কল্যাণে এগিয়ে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হোসেন শকু। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একের পর এক নানা কর্মসূচি চালিয়ে ইতিমধ্যে মানুষের মুখে মুখে উঠে এসেছেন।

করোনা ভারাস প্রতিরোধে নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের জনগণের মাঝে ১৫ মার্চ থেকে হেক্সিসল, সাবান ও মাস্ক বিতরণ শুরু করেন। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে এই কাজ চলমান থাকে, তারপর করোনা ভাইরাসের কারণে খাবার ক্রাইসিস দেখা দিয়েছে। যার পরিপেক্ষিতে ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত নিজ অর্থায়নে প্রতিদিন ৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এর পাশাপাশি ১ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত গাড়ির দুই দিকে দুই ফগার মেশিন বসিয়ে ১২ নং ওয়ার্ড জুড়ে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। এ রকম ৫টি ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হয়।