এভাবে ডাকতে নেই
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আর ডেকো না,
এভাবে ডাকতে নেই জলে স্থলে গল্পে অসময়ে
তোমার হাতের পিদিম তুলে ধরো
বিকালঙ্গ মুখোশ যেনো ভীড়তে না পারে তোমার
ছায়ায়,
করোটিরে একবার নাচাও দেখি কষ্টে ও দ্রোহে।
তাই বলছি ঐ ভাবে ডাকতে হয় না অনেক সময়
ভিন্ন সময় কিম্বা দুঃসময়।
যেখানে করতলে ওড়ে আগুনের দাঁড়কাক
তার উত্তাপ এসে দোলা খায় হৃদপিণ্ডে,
আমার শরীরে যে ঘাম উৎপাদিত হয়
তা রসুই ঘরের মাকড়সার খাঁচায় আটকানো
বহুকাল ডেট ওভার নিদারুণ সংসারে
বলেছি পিছন থেকে ডাকতে হয় না !
আমি দুপুরের পথ না,
আমি অনেকটা রৌদ্রের বিপরীতে
মার্চ করতে করতে মানবিক আঙিনা ক্রস করা পালাকার,
সুদূর প্লেকার্ড উল্টানো শব্দ পড়তে গিয়ে বেঁকে ফেলেছি মানুষের অভ্যস্ত মুখ।
প্লিজ আমাকে ডেকো না ল্যাম্পপোস্টের আলোর তলায়, বৈদ্যুতিক বিভ্রাট আমাকে কাতর করে রাখে, তাই গ্রহের কিছু সময় ব্যয় করার তপস্যা
আমার নেই প্রেমের এই আকালে।
আমি এখন পণ্যের ছোট ছোট মোড়কে তুলে রাখা রেডিমেড উপহার,
আর খুঁজে পাওয়া অবসর।
তার চেয়ে বরং,
আমার রক্তের ঢেউয়ে নীল ফিতায় তোমার শরীর
আমাকে খানিক শুদ্ধ করে,
তখন তুমি প্রিয়তমা
তখন তুমি বিশুদ্ধ কাম
তখন তুমি নারী, আমার কাছে।
তাই বলছি আমাকে ডেকো না;
ডাকলেই তুমি চলে যাবে আমার স্রোতে।
তখন আমরা জাপ্টাজাপ্টি করি শামুকের গুহায়
যেনো আদিম কোষে ভাসমান মানব -মানবী।
তাই বলছি আমি ফিরে যেতে চাই
সেই সব দূর পরাহত জীবনের কাছে,
যারা শরীর দিয়ে না, হৃদয় দিয়ে পাখি হতে চায়।
মিলন মাহমুদ