বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

এবার অভিনন্দন-গোঁফে মেতেছেন সবাই

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : তাঁর সাহসকে কুর্নিশ করেছেন দেশবাসী। গত কাল রাতে দৃপ্ত ভঙ্গিতে হেঁটে তিনি যখন ভারতের মাটিতে পা রাখলেন, হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। আর এ বার চর্চা শুরু হয়েছে তাঁর গোঁফ নিয়ে।


শুক্রবার রাত ন’টা একুশে ভারতে ফেরেন অভিনন্দন বর্তমান। আর শনিবার ভোর হতে না হতেই মোবাইলে নানা ‘শুভ সকাল’ বার্তা সঙ্গে অভিনন্দনের ট্রেডমার্ক গোঁফের রেখাচিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন সেই কার্টুন। গোঁফের ছবির পাশে কোথাও লেখা, ‘সাহসের নতুন প্রতীক’, কোথাও বা ‘গোঁফ দিয়ে যায় চেনা’। কোনও ছবিতে আবার গোঁফে ভর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ বিমান।


শুধু ভার্চুয়াল দুনিয়া নয়, সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, শনিবার সকাল থেকেই সেলুনে সেলুনে ভিড়। ছেলেদের একটাই আর্জি অভিনন্দনের মতো বাহারি গোঁফ করে দিন। ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডারের গোঁফের ধাঁচে নিজেদের সাজাতে উঠেপড়ে লেগেছেন যুবকেরা। রাস্তার ধারে ‘ইটালীয়’ সেলুন থেকে কেতাদুরস্ত বিউটি পার্লার, সব জায়গাতেই ‘অভিনন্দন স্টাইল’-এর জোর কদর। 


এক টুইটার গ্রাহকের কথায়, ‘অভিনন্দনের গোঁফজোড়া এখন কেতার আর এক নাম। পার্লারে ঢোকা মাত্র তাই আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘অভিনন্দন কাট চাহিয়ে ?’ তা হলে আশ্চর্য হবেন না।’

অভিনন্দনের গোঁফের যে ধরন, তার পোশাকি নাম ‘গানস্লিংগার’। অনেক দক্ষিণ ভারতীয়ই এ ধরনের গোঁফ রাখেন। আর সেনাবাহিনীতে বাহারি গোঁফের তো আলাদা কদর! বিপণন কর্তারা অনেকে মনে করছেন, অভিনন্দন এখন নিজেই এক ‘ব্র্যান্ড’। ভারতীয় পৌরুষের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছেন তিনি। এবং তাঁর মতো হতে চাওয়ার বাসনায় এখন তাঁর মতো গোঁফ রাখারও হিড়িক পড়ে গিয়েছে। 


মনোবিদেরা বলেন, যুগ-যুগ ধরে গোঁফের সঙ্গে মিলে গিয়েছে উচ্চকিত পৌরুষের ধারণা। একাধিক গবেষণাতেও দাবি করা হয়েছে, গুঁফো পুরুষদের প্রতি নারীরা নাকি বেশি আকৃষ্ট হন। কিছু গবেষণা আবার বলছে, গোঁফ থাকলে পুরুষের মনে একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস আসে। এক জন পুরুষ নাকি দৈনিক তাঁর গোঁফে কম করে ৭০০ বার হাত দেন ! 

ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে তারকাদের অনুকরণে চুল-দাড়ি-গোঁফ কাটার প্রবণতা নতুন নয়, তা সে আটের দশকে মিঠুন চক্রবর্তীর চুলের ছাঁটই হোক বা হালফিলের বিরাট কোহালির দাড়ি। সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তথ্য সূত্র : অনন্দ বাজার পত্রিকা, কলকাতা 

এই বিভাগের আরো খবর