বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

একাধিকবার উচ্ছেদ হলেও রেললাইনের দু’পাশে অবৈধ দখলদার

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : একাধিকবার উচ্ছেদেও রেললাইনের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। নিয়মানুযায়ী রেললাইনের দুইপাশের ১০ ফুটের মধ্যে যেকোনো স্থাপনা নিষিদ্ধ হলে এ নির্দেশনা অমান্য করেই দীর্ঘদিন যাবৎ  রেললাইনের দুইপাশে দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে ব্যবসায়ীরা। 


এদিকে সম্প্রতি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল রেললাইন করার জন্য রেলওয়ের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাটগুলো উচ্ছেদ করা হয়। গত ৩১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে কতৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জ ২ নং রেলগেট উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ দখলদারদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। তারপরও রেল কর্তৃপক্ষ  ২ নং রেল গেট থেকে চাষাড়া রেল স্টেশন পর্যন্ত উচ্ছেদ করে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই আবার আগের মতই অবস্থা।


সরজমিনে দেখা যায় ১নং রেল গেট থেকে ২নং রেল গেট পর্যন্ত  রেললাইনের দুইপাশে শতাধিক দোকানপাট গড়ে উঠেছে। অবৈধ দোকান পাট দখলকারিরা বাঁশের খুঁটি সাথে পলিথিন প্যাচিয়ে  কেউ ফলের ঝুঁড়ি নিয়ে কেউ আবার কাঠের তাক বসিয়ে অস্থায়ী দোকান সাজিয়ে বসেছে।


এদিকে ট্রেন আসা যাওয়ার সময় হলেই  বাঁশের সাথে পেচানো প্লাস্টিক ঝুলানো সরিয়ে নিচ্ছে। আবার ট্রেন যাওয়ার সাথে সাথে সরিয়ে নেয়া জিনিস আয়ের জায়গাতেই পূনর্বহাল করা হচ্ছে। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে। ঘটছে নানা ধরণের দূর্ঘটনা।


রেলওয়ে কয়েক বার দখলমুক্ত করার জন্য  উচ্ছেদ অভিযান চালালেও জায়গা গুলো দখল মুক্ত রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া ফলে আবার বেদখল হয়ে চলে গেছে।


এদিকে বার বার উচ্ছেদ হবার পরও কিভাবে আবার বসে। বার বার উচ্ছেদ কি শুধু ‘আইওয়াস’ নাকি উচ্ছেদের নামে নতুন দোকানদারদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে।


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের  স্টেশন মাষ্টার গোলাম মোস্তফা জানান, রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ ডাবল লাইনের জন্য অবৈধদখলদারদের উচ্ছেদ করে। এখন এই বিষয়ে দায়িত্ব তাদের । তারা সাথে সাথে কাজ শুরু করলে  দখল করতে পারতো না।


তবে  জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি এড. এবি সিদ্দিকী জানান,  কিছুক্ষণ আগে ২নং রেলগেটের ফলপট্টির এখানে এক বৃদ্ধ লোক  রেললাইন পার হবার সময় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল।  ট্রেন আসছিলো কিন্তু উনি না দেখতে  পেয়ে পার হচ্ছিলো। আশে পাশের লোক হৈ চৈ করে লোকটি টান দিয়ে সরিয়ে আনে। 


আসলে আমাদের দেশের  মানুষ এখনো সচেতন না।  এত বার উচ্ছেদ হবার পরও এখানে দোকপাট বসে। একদিকে যেমন সচেতনতার অভাব অন্যদিকে আমরা বিভিন্ন সূত্রে  জানতে পারছি রেলওয়ে ও সিটি কর্পোরেশনের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসেই এখানে দোকানদাররা বসার সুযোগ পাচ্ছে।  
 

এই বিভাগের আরো খবর