মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

এক আব্দুল কাদিরেই সব ঠাণ্ডা

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : কেন্দ্র, জেলা, উপজেলার কোন নেতৃবৃন্দকে না জানিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দিয়ে এমনিতেই তোপের মুখে পড়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল ও দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেল। তিনজনেই ভিন্ন কারণে দেশের বাইরে যান। জেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের সেভাবে আর দেখা হয়ে ওঠেনি। ক্ষোভ যে জন্মেছিলো পাহাড়সম।  তবে সেটি যে কতখানি তা সব যেন ঝড়ে পড়ল এক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরেরই কন্ঠে। 

 

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে ২নং রেলগেট কার্যালয়ে  জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে একে একে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংঠনগুলো। 

 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদকসহ কমিটির গনাকয়েক নেতার নেতৃত্বে (অধিকাংশ নেতারা ফুল দেন সহসভাপতি আইভীসহ অন্যদের সাথে) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে আলোচনা করতে কার্যালয়ের নিচতলায় বসেন। 

 

এসময় হঠাৎ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য না এমন লোকজন হঠাৎ ‘একটা একটা দালাল ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর; একটা একটা রাজাকার ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর; নারায়ণগঞ্জের মাটি শামীম ওসমানের ঘাঁটি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এতে হুট করেই কার্যালয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর হঠাৎই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির উত্তেজিত হয়ে টেবিল চাপড়ে উঠে দাঁড়ান।

 

তিনি এসব স্লোগান কাদের উদ্দেশ্য করে দেয়া হচ্ছে সেটা জানতে চান। তিনি বলতে থাকেন, আমি এমনি এমনি এখানে আসি নাই। ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেই আসছি। কাদের দালাল বলা হচ্ছে। কাদের কল্লা কাটবে। আব্দুল কাদিরের অগ্নিরূপ দেখে তৎক্ষণাৎ চুপসে যান স্লোগানধারীরা। 

 

এসময় আব্দুল কাদিরের সাথেই বসে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ভিপি বাদল মুখে হাত দিয়ে থাকলেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবার সবাইকে থামতে বলেন। এসময় ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনুসহ অন্যান্যরাও উত্তেজিত আব্দুল কাদিরকে মাথা ঠান্ডা করতে অনুরোধ জানান। এতে কিছুটা শান্ত হন আব্দুল কাদির। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারিসহ কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেননা।  
 

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির বলেন, ‘এমন দিনে এসব শ্লোগান শোভা পায়না। ১০/১৫ মিনিট যাবত জেলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে বাইরের ছেলেপেলেরা এসব স্লোগান দিচ্ছিল। সভাপতি, সেক্রেটারি চুপ করে রইলো। শেষে আমরা যাতে অনুষ্ঠানটি শুরু করতে পারি তার জন্য তাদের ধমক দিয়েছি। ছোটদেরও বড়দের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’ 
 

এই বিভাগের আরো খবর