শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

উপজেলা নির্বাচনে ফের মুকুল

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বন্দর উপজেলায় আবারো হেভীওয়েট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।

তবে এবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নয়, জাতীয় পার্টির হয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে বিভিন্ন মহলে কথা উঠেছে। আতাউর রহমান মুকুল খুব শীঘ্রই জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে পারেন বলেও কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার চৌধুরীবাড়ি এলাকায় নাসিম ওসমান মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত সভার পর থেকে এনিয়ে রীতিমত বন্দরে নানা আলোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, বিএনপির নেতা হলেও গত কয়েকবছর ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান মুকুল স্থানীয় এমপির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে গেছেন। স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানও নানা অনুষ্ঠানে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে চক্ষুশূল ঠেকলেও স্থানীয় মানুষের উপকার ও সেবা করার স্বার্থেই মুকুল এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এছাড়া বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এই আসনে আওয়ামী লীগ তাঁর শক্তিশালী প্রার্থী খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে।  

বুধবারের সভায় দলটির মহাসিচব ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা পরিস্কার করে বলে গেছেন, বন্দর উপজেলা নির্বাচনে সবকটি পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এবং এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির নেতাদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন। এর আগে একই জায়গার অনুষ্ঠানে পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলে গেছেন ‘নারায়ণগঞ্জ মানেই ওসমান লীগ, ওসমান পার্টি’।

বন্দরে সেলিম ওসমানের অত্যন্ত আস্থা ভাজন হিসেবে জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতাদের চাইতেও বেশি আস্থাভাজন হচ্ছেন মুকুল। ব্যক্তিগতভাবেও মুকুলকে পছন্দ করেন এমপি। গত কয়েকবছরে বিএনপিতে একেবারেই সরব ছিলেননা মুকুল। বরং জাতীয় পার্টি কিংবা সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সবসময় উপস্থিত ছিলেন।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও সেলিম ওসমানের পক্ষে তিনি কাজ করেছেন বলে তাঁর নিজ দল বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন। নির্বাচনের পর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম সংবাদ সম্মেলনে আতাউর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে মুকুল সেলিম ওসমানের পক্ষে তাঁর দলবল নিয়ে কাজ করেছেন।

বুধবারের সভায় সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ আগামীতে যাতে আমাদের প্রয়োজন না হয়, জাতীয় পার্টি থেকে আমরা বের করব এর পরে কে ক্ষমতায় আসবেন। ’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েক নেতা জানান, মুকুল পদ-পদবীতে বিএনপিতে থাকলেও সে জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করছেন বেশ আগে থেকেই। সে যদি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয় তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এদিকে চারিদিকে আতাউর রহমানের মুকুল জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন এমন কথা চাউর হলেও এব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি এখনো। তার ঘনিষ্ট কয়েক জন জানান, সময় হলেই তিনি এব্যাপারটিতে মুখ খুলবেন। মানুষের উন্নয়নের জন্যই মানুষ রাজনীতি করে, দল করে জনপ্রতিনিধি হয়। কোন দলের হয়ে করছে সেটি বড় বিষয় নয়। 

এই বিভাগের আরো খবর