শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঈদের কেনাকাটায় এবার ব্যাপক সাড়া পেয়েছে আড়ং

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৯  

নুসরাত জাহান সুপ্তি (যুগের চিন্তা ২৪) : আসছে ঈদ। ঈদ মানেই খুশি। খুশির এই দিনে নিজেকে সেরা পোশাক দিয়ে সাজাতে কার না ইচ্ছে জাগে। নিজেকে সবচেয়ে ভিন্ন ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পোশাকে সকলের অন্যতম পছন্দ আড়ং। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে নগরের আড়ং এর শো রুমে ক্রেতাদের ব্যাপক ভীড়। সব আকর্ষণীয় পোশাকে আড়ং এর আউটলেটটি সেজেছে পুরোপুরি ভিন্ন আঙ্গিকে।


আড়ং এর লেডিস কর্নার হোক কিংবা জেন্টস কর্নার সব দিকেই ব্যাপক ভীড়। বিশেষ করে শিশুদের কর্নার। চারিদিকেই মন রাঙানো সব পোশাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটি কর্নার।


শোরুমে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে লেডিস সেকশন। লেডিস সেকশনে গেলেই চোখ আটকে যাবে ভিন্ন ডিজাইনের জুয়েলারিজ সেকশনে। নজর কাড়া সকল ডিজাইনে সাজিয়ে তুলেছে জুয়েলারিজ সেকশন।


জুয়েলারিজ সেকশনের পাশেই নারীদের শাড়ির মেলা। বিশেষভাবে সাজিয়ে তুলেছে তাদের শাড়ির সংগ্রহ। ভিন্ন ভিন্ন শাড়ির মধ্যে প্রাধান্য পাচ্ছে মসলিন, জামদানি। এছাড়াও এপ্লিক, ব্লকের কাজের শাড়ি রয়েছে। হাজার থেকে শুরু করে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।


সাথেই মেয়েদের ভিন্ন ভিন্ন মডেলের পোশাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মসলিন, সিল্ক, কটন, এন্ডি সিল্ক, এন্ডি কটনের কাপড়ের ওয়ান পিস, টু পিস, লং কুর্তি, সালোয়ার কামিজ। তবে বিশেষ একটি সেকশন করা হয়েছে তাগার পোশাকের জন্য। দাম বেদে তাগার মূল্য ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা। শুধু দোপাট্টা বা ওড়না নিয়ে সাজানো আড়ং এর একটি কর্নার। এখানে যেমন মন রাঙানো দোপাট্টা তেমনি চোখ আটকাবে এসব দোপাট্টার সূক্ষ্ম কারুকাজে।


আড়ং এর পাঞ্জাবির কালেকশনকেও সাজিয়ে তোলা হয়েছে ভিন্ন সব ডিজাইন ও আকর্ষণীয় রঙে। কটন, সিল্ক, জামদানি কাপড়ে মধ্যে বিভিন্ন ডিজাইন করা হয়েছে। পাঞ্জাবির মূল্য সর্বনিন্ম ১ হাজার ৫শ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা। পাঞ্জাবির সাথেই রয়েছে শর্ট কুর্তা।


পুরুষদের শার্টের মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ডিজাইন। কটন, সিল্ক, এন্ডি সিল্ক শার্টে ব্লক, স্ক্রিন পিন্ট, হ্যান্ড এম্বোডারি, মেশিন এম্বোডারির কাজ করা হয়েছে। একই রঙের কটন শার্টের মূল্য ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।


ঈদে মুসলিম পুরুষদের জন্য আছে বিভিন্ন ডিজাইনের টুপি। তবে এর মধ্যে হাতে কাজ করা ভিন্ন ধরনের কিছু টুপি রয়েছে। এছাড়াও নিজের সাথে সাথে ঘরকে আকর্ষণীয় করে সাজাতে ও নতুনত্বের চমক আনতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জার সামগ্রী।  


শোরুমে সবচেয়ে বেশি ভীড় শিশুদের কর্নারে। শুরুতেই নিজের বাচ্চার পছন্দ মতো পোশাকটি কিনে ফেলেন ক্রেতারা। কটন, লিলেন, সুতি, মিক্সড সব ধরনের কাপড়েই বিভিন্ন ডিজাইন করে পোশাক তৈরী হয়েছে। ফ্রক, স্কার্ট, সালোয়ার কামিজ বিক্রি করা হচ্ছে। শিশুদের সব ধরনের পোশাক বিক্রি হলেও সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ শিশুদের ঘাগড়াতে। ঘাগড়ার মূল্য সর্বনিন্ম ১২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা। এছাড়া শিশুদের জুতার কালেকশন দেখার মতো।   

 

আড়ং এর নারায়ণগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, ‘এবার ঈদে  গ্রীষ্মকালকে ব্যাপক প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গরমে পোশাকে আরামের প্রয়োজনীয়তার কথা চিন্তা করা হয়েছে। তাই কটন কাপড়ের উপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের শিশুদের পোশাক সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। শাড়িতে আড়ং সবসময়ই ভিন্ন ডিজাইন আনার চেষ্টা করে। এবারো তার বাহিরে নয়।’ 

এই বিভাগের আরো খবর