শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঈদে জুতোর চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৯  

শাহজাহান দোলন (যুগের চিন্তা ২৪): রমজান শেষেই আসবে ঈদ। আর ঈদ মানেই তো আনন্দ। কিন্তু এই ঈদে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে আনন্দ আনতে একটি বড় উপাদান হিসেবে কাজ করবে-জামা ও প্যান্টের সাথে এক জোড়া নতুন জুতো। জরীর পোশাকে শরীর ঢেকে পায়ে মার্জিত নকশার জুতো জড়িয়ে বিকেলে ঘুরতে বেরুতে পারলেইতো হবে ঈদ।

 

তাই ধনী এবং গরীব সকলের কাছেই ঈদকে কেন্দ্র করে জুতোর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ধনীদের একটি বড় অংশের জুতোর চাহিদা, বাটা ও এপেক্সসহ বেশ কয়েকটি নামি-দামি ব্রান্ডের জুতো দিয়েই পূরণ হয়। তবে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তদের তাকিয়ে থাকতে হয় দেশীয় কারিগরদের হাতে তৈরী জুতোর দিকে।


ক্রেতার চাহিদার দিকটি লক্ষ্য রেখেই নগরীর দুই নং রেলগেট, নলুয়ারোড, পাক্কারোডের বেশ কয়েকটি জুতা তৈরীর দোকানে দেখা যায়-কারিগররা জুতো তৈরীতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে। সাইকেল-সু, স্লিপার, কলাপুরি, নাগড়া এবং কাবলিসহ বেশ কিছু ডিজাইনের জুতো তৈরীতে পারদর্শী এরা। সাধারণত প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ জোড়া জুতো তৈরী করলেও রমজান মাসে বাড়তি চাপের কারণে ১২ থেকে ১৩ জোড়া জুতো তৈরী করতে পারেন এক একজন কারিগর।


পাক্কারোডের মিলন সু-স্টোরের কারিগর দেলোয়ার হোসেন বলেন, রোজায় আমরা বেশ ভাল করছি। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জোড়া জুতো তৈরী করে বাজারে বিক্রি করছি। ক্রেতাদের চাপও বেশ ভাল। অর্ডার দিন দিন বাড়ছে। আশা করি সামনে আরও বাড়বে।


রমিজ মিয়া নামের আরেক কারিগর জানান, ঈদে আমদের জুতোর চাহিদা সব সময়েই বেশি থাকে। মূল্যও অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পাই। আমরা এখানে তৈরীর পর এক জোড়া জুতো ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করি। তাই লাভও ভাল হয়। এখন আমাদের নারায়ণগঞ্জের অনেক জুতোর দোকানীরা সরাসরি আমাদের কাছ থেকে জুতো কিনে। তাঁরা এখন আর ঢাকায় যায় না।  


জুতোর কারিগররা আরও জানান, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের প্রত্যেকটি জেলায় জুতোর চাহিদা মেটাতে ভৈরব ও ঢাকার সিদ্দীক বাজারের পাদুকা তৈরীর কারিগররা বড় ভূমিকা রাখলেও এখন নারায়ণগঞ্জের কারিগররা তাঁদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। তাঁদের মতে এই খাতে উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এখানেই একটি বড় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

এই বিভাগের আরো খবর