শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইয়ার্ণ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনে নতুন সদস্য গ্রহণে বাঁধা

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সদস্য গ্রহণে ব্যবসায়ীদের বাঁধা প্রদান করার চেষ্টা করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে সেখান থেকে পিছপা হয়ে যান বর্তমান কমিটি। 


তবে নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তি এখনো অনেকটা ধোয়াশার মধ্যে রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে ২০১৬-১৮ অর্থবছরের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মর্মে জরুরী বিজ্ঞপ্তি ২ জুলাই প্রকাশ করা হয়। 


নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য আবেদন করা ব্যবসায়ীরা জানান, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এসোসিয়শনের গণতন্ত্রের ১৬(১)(খ) ধারা মোতাবেক নির্বাচনের পূর্ববর্তী ১২০ দিনের মধ্যে যারা সদস্য হতে হবে।  নতুন সদস্যদের জন্য সাধারণ গ্রুপে ভর্তি ও চাঁদা সহ ২হাজার টাকা। এসোসিয়েট গ্রুপে ১হাজার টাকা। 
ভোটার হওয়ার জন্য লাগবে হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি, হাল নাগাদ, টিআইএন-ট্যাক্স পরিশোধ রশিদের ফটোকপি, দুই কপি পি পি সাইজ কালার ছবি এবং ভিজিটিং কার্ড বা মালিকের মোবাইল নাম্বার। এসোসিয়েশনের নতুন সদস্য হতে এসব কাগজপত্র হালনাগাদ করে জমা দিতে সময় দেয়া হয়েছে মাত্র ৮ দিন।


২ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর ৮ দিন পর ১০ জুলাই সদস্য হওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অনেক ব্যবাসয়ী এরকমটা করায় হতাশা প্রকাশ করেন। যদিও নতুন সদস্য হিসেবে ৮ দিনে সাধারণ গ্রুপে প্রায় ৩’শ এর উপরে এবং এসোসিয়েট গ্রুপে প্রায় ২’শ এর উপরে ব্যবসায়ী তাদের কাগজপত্র জমা দেন। 


মেম্বারশীপ নিতে গিয়ে অনেকে হয়রানীর শিকার হন বলেও অভিযোগ করেন। যারা জমা দিয়েছেন তারাও  কিন্তু এখনো কাগজপত্র হালনাগাদ নেই কিংবা নানা জটিলতা তৈরী করে সদস্যপদ নাও দেয়া হতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করছেন। প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 


ব্যবসায়ীরা জানান, নির্বাচনের ৬০ দিনের আগে এসোসিয়শনের পুরোনো সদস্যদের নবায়নের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখানে যারা বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করবেন শুধুমাত্র তারাই ভোটাধিকার প্রয়োগ কিংবা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে। বার্ষিক চাঁদার হার, সাধারণ গ্রুপে নবায়ন ফি ১ হাজার টাকা, এসোসিয়েট গ্রুপে ৫ শত টাকা ।


ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মাচেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৮-২০ অর্থবছরের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ব্যবসায়ীরা নির্বাচনমুখী। এবার দুই প্যানেলেই ব্যবসায়ীরা নির্বাচন দেখতে চান। বাংলাদেশের সকল সুতা ব্যবসায়ী যারা ইয়ার্ণ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সদস্য সবাই নির্বাচনে ভোট দিতে একমত প্রকাশ করেছেন। সকলে এবারে নির্বাচন সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই আশা করেন।  


এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ২০১৬-১৮ অর্থবছরের সভাপতি এম সোলায়মান বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নবায়নের সময় রয়েছে ২ মাস। কিন্তু বোর্ড নতুনভাবে সদস্য হওয়ার সুযোগ যে ৮দিন দেয়া হয়েছে তা নির্বাচন বোর্ডই দিয়েছে। এটা বিজ্ঞপ্তি নোটিশে লেখা আছে। এখানে কোন সমস্যা নেই। মাত্র ৮দিনে অনেক মেম্বার হয়ে গেছে। 


এগুলোসব নির্বাচন বোর্ডের এখতিয়ারে হয়েছে। নতুন মেম্বার নেয়ার ক্ষেত্রে আগের ট্রেড লাইসেন্স যাদের ছিলো তাদেরগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। টিআইএন এর ক্ষেত্রে ২০১৭ সালেরটিও গ্রহণ করা হয়েছে। অনেকে টিআইএন দেন নাই সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন। ই-টিআইএন গ্রহণযোগ্য হবে না। সদস্য হতে হলে হালনাগাদ টিআইএন লাগবে। 


অফিস প্রথমে হালনাগাদ টিআইএন ব্যতীত আবেদন নিতে চায় নি। পরবর্তীতে আমরা বলেছি, নিয়ে নিতে, কেননা পরবর্তীতে নির্বাচন বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা যাই করবো স্বচ্ছতার সাথে যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে। 


উল্লেখ্য, আগামী ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ইয়ার্ন মাচেন্টস এসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসোসিয়েশনের সচিব স্বাক্ষরিত এক জরুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে । বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করার জন্য সকল সদস্যদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। জরুরী বিজ্ঞপ্তির কারণ হিসেবে চলতি বছর জাতীয় নির্বাচনের সময় সূচীর বিষয়টি বিবেচনা করে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 


২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ২০১৬-১৮ অর্থবছরে সভাপতি পদে এম সোলায়মান, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে হাজী আব্দুল মান্নান এবং সহ সভাপতি পদে  মো. নিছার উদ্দিন কামাল নির্বাচিত হন। 


বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ২০১৮-২০ অর্থবছরে ৮ নভেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান এম সোলায়মান এবং সাবেক সভাপতি লিটন সাহার মধ্যে দুই প্যানেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 
 

এই বিভাগের আরো খবর