শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আড়াইহাজারে ফসলি জমিসহ বসত বাড়িতে ডাইংয়ের বিষাক্ত বর্জ্য : দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার ( যুগের চিন্তা ২৪ ) : আড়াইহাজার উপজেলার অধিকাংশ কারখানাগুলো পরিবেশনের ছাড়পত্র বা ইটিপি প্লান্ট ছাড়াই চলছে। ডাইং কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত পানি পরিশোধন না করে রং মেশানো রঙিন পানি ড্রেনের মাধ্যমে আশপাশের ফসলি জমি ও  এলাকায় ফেলানোর ফলে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি  নষ্ট হচ্ছে। পানির সাথে রং করা বিষাক্ত বর্জ্যের উৎকট দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষণসহ নানা রোগ ব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে।


আড়াইহাজারের উপজেলার বান্টি বাজার এলাকায় প্রায় ১৫ বছর যাবৎ খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং ও মাহির ডাইংসহ অধিকাংশ ডাইং ফিনিশিং কারখানাগুলো পরিবেশন অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ও  ইটিপি ছাড়াই চলছে। যেগুলোতে চালু রয়েছে সেগুলোতেও প্রয়োজনীয় মেডিসিন ব্যবহার না করে রঙিন বিষাক্ত পানি সরাসরি পার্শ্ববর্তী  আবাদী ফসলি জমিতে ফেলে পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে চলেছে।


এদিকে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম নামে একজন গত ২০ নভেম্বর  নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)  পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ মোতাবেক ২৪ নভেম্বর খাদিজা টেক্সটাইল ডাইংয়ের প্রোপাইটার নজরুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠায়।


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার বলেন, আমাদের কাছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী ব্যক্তি এবিষয়ে অভিযোগ করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং কে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছি। তারা কোন জবাব দেইনি। আমরা আবারও নোটিশ পাঠানো। যদি জবাব না দেয় তাহলে আমরা মোবাইল কোর্টের পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ পনের বছর যাবৎ বান্টি বাজার এলাকায় খাদিজা টেক্সটাইল ডাইং ও মাহির ডাইংসহ অধিকাংশ ডাইং ফিনিশিং কারখানাগুলো পরিবেশন অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ছাড়া চলছে। কিছু কিছু কারখানায় ইটিপি থাকলেও সেগুলো ছাড়াই চলছে।


এই দুই ডাইংয়ের ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যালযুক্ত পানির কারণে আমাদের এলাকার প্রায় দশবিঘা ফসলি জমি নষ্ট ও আশপাশের বসতবাড়ির মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশের পরও থেমে নেই। গাছপালা ও বায়ু দূষণ হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।


তিনি আরও বলেন, আমরা এলাকাবাসী কয়েক দফা এসব মালিকদের মৌখিকভাবে জানিয়ে কোন লাভ হয় নাই। বরং তারা উল্টো আমাদের কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ এ প্রক্রিয়া চলে আসলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই।


এ অবস্থা যাদের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

এই বিভাগের আরো খবর