বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আড়াইহাজারে পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে অভিযান ও মাকিং

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২০  

আড়াইহাজার (যুগের চিন্তা ২৪) : আড়াইহাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করাসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মাকিংয়ে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। শনিবার (২১ মার্চ) এ অভিযান ও মাকিংয়ে সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।


করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভোক্তাদের কাছ অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছিলেন অসাধু কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। এতে নিত্যপণ্যের দাম প্রতি ঘন্টায় হু হু করে বাড়ছিল। অনেকের মতে বিষয়টি যেন, মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।


সরেজমিন বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারে ভোক্তাদের কাছ থেকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দাম হাঁকানোর চেষ্টা করছিলেন। একদিন আগেও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম তিনগুণ বেশি আদায় করা হয়েছিল। অপরদিকে স্থানীয় চালের বাজারেও চলছিল অস্থিরতা। প্রতি ৫০ কেজির চালের বস্তা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি বিক্রি করছিল।


শুক্রবার দিনভর যে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ৮০টাকা। সেই পিয়াজই বিক্রি হতে দেখা গেছে কেজিপ্রতি মাত্র ৪০টাকায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যাপক অভিযান ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম মুহূর্তেই কমে যায়। এতে ভোক্তাদের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে আসে। 


আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারের সবজি বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, শশা ২৫ থেকে ৩০টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০টাকা, গাজর ২৫ থকে ৩০টাকা, পটল ৬০টাকা ও চিচিংগা প্রতিকেজি ৬০টাকা। 
ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৮০টাকা, আদা ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৮০-২০০টাকা কেজি বিক্রি করছেন। 


তবে পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।অতিরিক্ত দাম যাতে আদায় করতে না পারেন, এর জন্য পাইকারী দোকানগুলোতে দিনভর প্রশাসনের লোকজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। 


আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, সকল প্রকার অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে ও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততায় এলাকায় সচেতনামূলক মাকিং করা হচ্ছে। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হোসেন বলেন, উপজেলা ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সবসময় সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে আমরা উপজেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে তৎপরতায় আছি। এ সময় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। 


তিনি আরও বলেন, গত দুইদিন ধরে আমি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পণ্যের দাম একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। গণমাধ্যমকেও আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা পজেটিভ সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

এই বিভাগের আরো খবর