আড়াইহাজারে থানায় ২০ বছরের মামলার রেকর্ড ভাঙলো

আড়াইহাজার (যুগের চিন্তা ২৪) : আড়াইহাজার উপজেলা ২ টি পৌরসভা ও  ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। শিল্পকারখানা ও কৃষিনির্ভর এই এলাকার মানুষের জীবন-যাপন। রাজনৈতিকভাবে এখানে নেই কোনো হানা-হানি। এক সময় থানায় মাসে গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি মামলা রুজু হতো। চুরি, ডাকাতিসহ জমিজমা নিয়ে হানাহানির ঘটনা ছিল অনেকটা নিত্যদিনের ঘটনা।

আড়াইহাজার থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নজরুল ইসলাম যোগদানের পর ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন হতে থাকে। এরই ফলোশ্রুতিতে কমতে থাকে মামলার সংখ্যও। তিনি ২০১৯ সালের ২১ মে থানায় যোগদান করেন। আড়াইহাজার থানায় তার যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত বড় ধরনের অপ্রীতিকর কোনো ঘটনাই ঘটেনি। সাধারণ মানুষ আইনি সেবাও পাচ্ছেন আগের তুলায় বেশি। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা প্রতিনিয়তই বাড়ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। 

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আড়াইহাজার থানায় গত ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দাবি। গেলো মাসে বিভিন্ন অপরাধে মাত্র ২৪টি মামলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৬টি, হত্যা ১টি, দ্রুতবিচার আইনে ১টি ও  ৬টি  মামলা রুজু হয়েছে।

জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সর্ব্বো” রেকর্ড। বেশ কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে স্থানীয় কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দী এলাকা থেকে স্ত্রী হত্যার ৩২ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ২০ বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল সবচেয়ে কম মামলা। যেখানে প্রতিদিন মাসে গড়ে ৬০ থেকে ৭০টি মামলা রুজু হতো। এখন তা কমে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের স্বার্থে ১৫ দিন পর পর সকল অফিসারদের নিয়ে আমি সভা করছি। অফিসারদের কাজের ফলোআপ মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এতে করে প্রতিটি অফিসারই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে করছেন। এরই ফলোশ্রুতিতে আইনশৃঙ্খলা ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে আমার অফিসারদের ভূমিকা অপরিসীম। 

ওসি তদন্ত আমীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীদের সর্বোচ্চ প্রদান্য দিয়ে আমরা মামলার তদন্তকাজ সম্পূর্ণ করে যাচ্ছি। এর ফলস্বরূপ আড়াইহাজার থানাকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকবার ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।