শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আলোচিত সাতখুন : পূর্ণাঙ্গ রায়ে ১৫ জনের ফাঁসি, ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে দেয়া রায়ে স্বাক্ষর করেছেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। এখন হাইকোর্টের রায়টি প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৮০০ পৃষ্ঠার রায় হয়েছে। এ রায়টি আজই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বৃহস্পতিবার এই স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল।

তিনি জানান, এ মামলায় রায় প্রদানকারী দুই বিচারপতি তাদের স্বাক্ষর দিয়েছেন। এখন রায়টি ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য প্রস্তুতি চলছে। তবে রায়ের পর্যবেক্ষণে কী আছে সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি।

কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ  হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে গত বছরের ২২ আগস্ট রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট।

রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সৈনিক আল আমিনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদন্ডের সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে তারা হলেন- সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু অরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন। এছাড়া নি¤œ আদালতের বিভিন্ন মেয়াদে ৯ জনের সাজাও বহাল রাখেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন,  র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে

২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে ওই রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ৬টি মরদেহ। পরদিন মেলে আরেকটি মরদেহ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার একদিন পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম।  (সূত্র : জাগো নিউজ)

এই বিভাগের আরো খবর