শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আলীগঞ্জে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত কালু ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লার আলীগঞ্জে ৬ বছরের  শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ও ধর্ষিতার পরিবারকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হলেও ঘটনার মূল আসামী কালু এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।  

 

গত ১৬ মে আলীগঞ্জে রাতের বেলা রিক্সার গ্যারেজের মালিক কালু মিয়া কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় ৬ বছরের একটি শিশু। আলীগঞ্জের একটি বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে ভাড়া থাকতো শিশুটি। শিশুটির বাবা স্থানীয় একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরীকে চাকরী করে। বুধবার রাতে শিশুটিকে বাড়ির বাইরে খেলা করতে দেখে তার বাবা মসজিদে গিয়েছিল তারাবির নামাজ আদায় করতে। নামাজ শেষে তিনি বাসায় এসে দেখতে পায় তার  কন্যা শিশুটি অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এসময় তার পরনের জামায় রক্তের দাগও বাবা-মা দেখতে পায়। 

 

এরপর শিশুটি তার বাবা-মাকে জানায়, গ্যারেজের মালিক কালু মিয়া তাকে তার গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে জামা কাপড় খুলে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, কালু স্থানীয়দের দিয়ে শিশুর পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা শিশুটির পরিবারকে একটি সাদা কাগজে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয় বলেও অভিযোগ শিশুটির পরিবারের। এসময় তারা নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে এলাকা ছাড়তেও বলেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিশুটির পরিবার। 


ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারকে এলাকা ছাড়া করতে অভিযোগ উঠেছে বাড়িওলার ছেলে আকরামুল হোসেন, হাজী মনির হোসেনের ছেলে তনু, বাছেদের ছেলে আরিফ এবং হযরত আলীর ছেলে জায়েদ আলীর বিরুদ্ধে। এই ৪জনই ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারকে এলাকা ছাড়া করে। অপরদিকে অভিযুক্ত কালুকে পালাতেও সহযোগীতা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ৪ গুনধরই পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। 

 

বিচার সালিশ করা ব্যাক্তিতের মধ্যে তনু স্বীকার করেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা  চিকিৎসার জন্য দেয়া হয়েছিল। সেই টাকা শিশুটির পরিবারকে অভিযুক্ত কালুর স্ত্রী দিয়েছিল। তবে কোন বিচার সালিশ হয়নি বলে তিনি দাবী করেছেন। তনু আরও জানান, ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভীড় করছিল । বিষয়টি খারাপ দেখা যায়। সে জন্যই শিশুটির পরিবারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল অন্যত্র থেকে তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য।

 

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ মো.আসলাম হোসেন বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানা নেই। তবে এমনটি হয়ে থাকলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর