বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আমার দলে আমি যেটা বলবো সেটাই সবাই মানবে : শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার দলে আমি যেটা বলবো সেটা সবাই মানবে। আমি বলবো জনসভা আমি স্টেডিয়ামে করবো কিংবা কালকে নারায়ণগঞ্জ শহর বন্ধ করে দেবো। এটা আমার কথা সবাই শুনবে। আমার দলের মধ্যে আমি হলাম তাদের এমপি সাহেব।
 
রবিবার (১২ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনের লক্ষ্যে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সাথে আলোচনা সভায়  এক তিনি এ কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে যেকোনো একজন সিদ্ধান্ত দেন যে কিভাবে কী করা যায়। সমস্যা কী কী আছে। আমি জানি বিভিন্ন সমস্যা আছে এটা না বোঝার মতো আমি অত অবুঝ লোক না। এখানে সমস্যা হচ্ছে স্টোডিয়াম থেকে ঈদগাহটা পিছনে পড়ে গেছে। মধ্যে দিয়ে একটা রাস্তা গেছে। 

এটা কোনো সমস্যা নয়। এখানে একটা কাজ হতে পারে ঈদের জামাআত হিসেবে ঈদগাহে ঈদগাহের জামাত হবে, স্টোডিয়ামেরটা স্টোডিয়ামে হবে। আবার আরেকটা যেটা হতে পারে যদি বহিরাগতভাবে কোনো সমস্যা না থোকে তাহলে স্টেডিয়ামের সামনের দিকে একটা পেন্ডেল করা হবে, সেখানে ইমাম সাহেব দাড়িয়ে ইমামতি করবে। 

আর বাকিরা পেছনে ঈদগাহে বা আশেপাশের জায়গা থাকলে সেখানে আল্লাহর হুকুমে  যদি পাঁচ লাখ লোকের জমাআত হয় তাহলে পাঁচ লাখ লোকই নামাজ পড়বে। এখন আমার ইচ্ছা হচ্ছে ইতিহাসের মধ্যে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জমায়াত নারায়ণগঞ্জে হোক। 

আমি  ইমাম ও হুজুরদের উদ্দেশ্য বলবো  আপনারা একমত হয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেন এবং উপস্থিত সবাই সে সিদ্ধান্তে মত প্রকাশ করুন। এখানে আওয়ামীলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ আছে। তারা মানুষের কল্যাণের কাজ করে। আমরা তাঁদের সাথে কথা বলেও সিদ্ধান্ত নিতে পারি। কিন্তু এখানে যেহেতু নামাজ পড়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেখানে আমি ইমাম ও হুজুরদের মতামত চাইবো। 

এখানে পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় নিয়ে কোনো কথা নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু না । আমি যদি সহিহ হইয়া থাকি তাহলে আল্লাহ আমাকে সাহায্যে করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।  আমার কথা খুব পরিষ্কার আমি নিয়ত করছি সেটা আল্লাহ জানে।  আমি কারো কাছে হাতও পাতি নাই যে ৫০-৬০ লাখ টাকা লাগবে আমাকে দেন। এখন বাকিটা কী করবেন আপনারা সিদ্ধান্ত দেন।
 
এ সময় উপস্থিত জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম, খতিব ও অধ্যক্ষদের মধ্যে তিনসদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, ওসমান আলী স্টেডিয়াম এবং মাঝখানের সড়ক পুরোটা মিলিয়ে একজন ইমামের পেছনে একটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় উপস্থিত অন্যান্যরাও এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেন।
 
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফজলুল হক, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল¬া থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৪ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধানসহ বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম, অধ্যক্ষ এবং আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর