বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টরকে হুমকি, সদর থানায় জিডি

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৯  

বন্দর (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জের প্রথম শ্রেণির কন্ট্রাক্টর আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টরকে  চেম্বারে ডেকে নিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এড.কাজী তরিকুল ইসলাম রাসেলের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫মে) বিকেলে চানমারি নতুনকোর্ট এলাকায় শিকদার ভবনের চেম্বারে ডেকে নিয়ে এ হুমকি প্রদান করে।


এ ব্যাপারে আব্দুর রশিদ কন্ট্রক্টর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে সদর থানায় কাজী এড.তরিকুল ইসলাম রাসেলের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি এন্ট্রি) করেন। যার জিডি নং- ৫৭২।


জিডি ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শাহীমসজিদ এলাকার প্রথম শ্রেণির কন্ট্রাক্টর আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টরের বড় ছেলে নাজমুল হাসান (৩২) এর সাথে ফতুল্লা থানাধীন শিয়াচর এলাকার কবির আহমেদের মেয়ে হাসিবা সুলতানার সঙ্গে ৭বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। 


বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে রাত(৭) নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম নেয়। দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই নাজমুল তার স্ত্রী হাসিবাকে খুশি করতে থাইল্যান্ড, ব্যাংকক, হংকনসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়ে প্রচুর অর্থ ব্যায় করেছে।


তারপরও স্ত্রী হাসিবা সংসারী হতে পারে নাই। বেশিরভাগ সময়ই হাসিবা পিত্রালয়ে অবস্থান করত। পরে নাজমুল হাসানকে একদিন স্ত্রী হাসিবা সুলতানার দুঃসম্পর্কের মামা এড.কাজী তরিকুল ইসলাম রাসেল তার ভাগ্নী হাসিবাকে ডিভোর্স দিতে বলে।


কিন্তু নাজমুল রাজি হয়নি। পরে হাসিবা কৌশলে তার মামা এড.তরিকুলের সহযোগীতায় তার স্বামী নাজমুল,শ^শুড় আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টর, শাশুরীকে আসামী করে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আইনঅনুযায়ী নাজমুল হাসান ও হাসিবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ডিভোর্সের পর ছেলে রাত তার মায়ের সাথে থাকত। কিছুদির পর নাজমুল জানতে পারে তার স্ত্রী হাসিবা সুলতানার অনত্র বিবাহ হয়ে গেছে। 


নাজমুল হাসানের পরিবার ১০লাখ টাকা দেনমোহর হিসেবে পরিশোধও করেন। পরে নাজমুল হতাশায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে অসুস্থ হয়ে যায়। নাজমুল মাঝে মধ্যে ছেলেকে দেখতে তার শ^শুড় বাড়ি যেত।


পরে রাগে অভিমানে গত মঙ্গলবার ফতুল্লায় শ^শুর বাড়িতে গিয়ে নাজমুল তার ছেলে রাত (৬) কে নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়ে তার পিতা রশিদ কন্ট্রক্টরকে ফোন করে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (১৫ মে) বিকেলে হাসিবা সুলতানার মামা এড.কাজী তরিকুল ইসলাম রাসেল তার নতুন কোর্ট চেম্বারে ডেকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রথম শ্রেণির কন্ট্রাক্টর ও নাজমুল হাসানের পিতা আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টরকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও হুমকি দেয়। 


হুমকি দিয়ে এড.কাজী তরিকুল কন্ট্রাক্টর আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টরকে বলেন, তোমার ছেলে নাজমুলের এত বড় বুকের পাটা। আমার ভাগ্নী হাসিবা সুলতানার ছেলে রাতকে নিয়ে পালিয়েছে। একবার মামলা করে ১০লাখ টাকা আদায় করেছি এবার পরিবারের সবার নামে মামলা করে ২০লাক টাকা আদায় করব। 


এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে মামলা সংক্রান্ত ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে জীবনের নিরাপত্তা ও মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য এড.কাজী তরিকুল ইসলাম রাসেলের বিরুদ্ধে জিডি এন্ট্রি করেন ভূক্তভোগী আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টর।


এ বিষয়ে এড.কাজী তরিকুল ইসলাম রাসেল জানান, এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) এ বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না। থানায় জিডি হয়ে থাকলে আব্দুর রশিদ কন্ট্রাক্টর মিথ্যে তথ্য দিয়ে জিডি করেছেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর