বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আবাসন ও রেশনিং’র জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক শ্রমিকদের আবাসন, রেশনিং, স্বাস্থ্য খাতে ও সন্তানের শিক্ষার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন। শুক্রবার (২১ জুন ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 


সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দুলাল সাহা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র'র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র'র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দাস, জেলা কমিটির নেতা ছুলাইমান, মোস্তাকিম ও বিসিক অঞ্চলের নেতা মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।


সমাবেশে জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের টাকা দিয়ে দেশের সর্বাধিক উন্নয়ন হয়। আমরা শ্রমিকেরা যারা দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখি। দেশের বাজেটে গামেন্টস শ্রমিকের জন্য সামান্য কিছু বরাদ্দের জন্য দাবি করা হয়েছিল।


কিন্তু যাদের পরিশ্রমে অর্থনীতির চাকা চালু থাকে তাদের সামান্য দাবি কেন মানা হবে না। তাদের কথা কেন বাজেটে বিবেচনা করা হয়নি? পোশাক শ্রমিকদের আবাসন, রেশনিং, চিকিৎসা ও সন্তানের শিক্ষার জন্য আলাদা বরাদ্দ রেখে দেশের আপামর সাধারণ জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে অপূর্ণাঙ্গ বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।


অন্যান্য বক্তারা বলেন- দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে পোশাক শিল্প। এই শিল্পের শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রগতীর চাকাকে সামনের দিকে বয়ে চলেছে। 


এছাড়াও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিক, কৃষক ও প্রবাসী শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতিতে সব চেয়ে বেশী গুরোত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে অথচ দুঃখের বিষয় হলো দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বমুখী বাজারে শ্রমিক মেহনতি মানুষের আয় উপার্জনের তোলনায় ব্যয় অনেক বেশী হওয়ায় সারা বছর তারা নানা সংকটে তলিয়ে থাকে। এই সংকট সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রভাব আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিবে।


পোশাক শ্রমিকদের আবাসন, রেশন, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবী জানানো হয়েছে কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার তা বিবেচনায় নেয়নি। 


তবে পোশাক কারখানা মালিকদের প্রনোদনা সুবিধা দিয়েছে ঠিকই। এই বাজেটে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ও সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্রতা দূরীকরণের বিন্দু মাত্র প্রয়াস নেই। উল্টো যে সকল বিষয় গুলো বৈষম্য বৃদ্ধি করে সে সব আয়োজন জোরদার করা হয়েছে। 


কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সাধারণ জনগণের জন্য বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি সাধারণ মানুষের বদৌলতে আজকে দেশের অগ্রগতী সম্ভব হয়েছে অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে গরিব মেহনতি সাধারণ জনগণের দুঃখ কষ্ট লাঘব ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে ছোঁয়া লাগার কোন সম্ভাবনা নেই।

 

বাজেটে গরিব মেরে ধনীদের পকেট ভরার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই বাজেটে দেশে ধনী বৈষম্য ও শ্রেণি বৈষম্য বৃদ্ধি পাবে। ধনী আরো ধনী হবে গরিব আরো গরিব হবে। শ্রমিক মেহনতি সাধারণ জনগণ এই বাজেট মানে না। 
 

এই বিভাগের আরো খবর