মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে কুতুবপুর

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) :  বহু আগেই ‘খুনের নগরী’ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে ফতুল্লার পাগলার কুতুবপুর ইউনিয়ন। কিলার মনির হত্যাকান্ডের পর এই অঞ্চল কিছুটা শান্ত ছিল। তবে থেমে থেমে চলছিল সংঘর্ষ। আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে কুতুবপুর। 

 

কয়েক মাস আগে কুতুবপুরের শাহীমহল্লার বউ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মুরাদের কাছে চাঁদা দাবী করে মীরু ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করে মুরাদ। সম্প্রতি মুরাদকে মীরুর লোকজন পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেয়। 

 

এ ঘটনায়ও মুরাদ ফতুল্লা মডেল থানায় কয়েকদিন আগে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। আর এ অভিযোগের বিষয়ে থানায় শুক্রবার রাতে এসেছিল মুরাদ ও তার ছোটভাই সেলিম। থানায় প্রবেশের সময় তাদের দেখে মীরুর পক্ষে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল ও তার সাথে থাকা ব্যক্তিরা সেলিম ও তার ভাই মুরাদকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তাদের থানার ভিতরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে সেখানেও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। 

 

এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার দুপুরে মুরাদের ছোট ভাই সেলিম শিকদার বাদী হয়ে মীর সোহেল আলী, শাহীনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। 

 

অপরদিকে, মুরাদের স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয়ে মীর হোসেন মীরু (৪২),শাকিল ওরফে কিলার শাকিল (৩০),আলমগীর হোসেন বিপি রাজীব (২৬), গেন্দু (২৫), সোহান (২৩), খলিল (২৫), রাকিব (২২) কে আসামী করে আরো একটি অভিযোগ দিয়েছে। দু’টি অভিযোগ তদন্ত করে মামলা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আসলাম হোসেন।

 

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন মীরু। ফতুল্লা মডেল থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সে। এলাকায় চাউর রয়েছে মীরুকে শেল্টার দিয়ে থাকেন ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী। তবে মীর সোহেল বরাবরের মতোই মীরুকে শেল্টার দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন। 

 

কয়েকদিন আগে মীরু ও তার সহযোগীদের বিপক্ষে ফতুল্লা মডেল থানায় শাহী বাজার এলাকার মুরাদ একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে সেলিম ও তার ভাই মুরাদকে শুক্রবার রাতে থানার ভেতরেই মীর সোহেল আলী ও তার সহযোগীরা মারপিট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

মারপিটের ঘটনায় সেলিম শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মীর সোহেল ও তার সহযোগী শাহিনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

 

সেলিম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মীর হোসেন মিরুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক মাস আগে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা করেছিলেন তার বড় ভাই মুরাদ। গত কয়েকদিন আগে ঐ মামলার সূত্র ধরে মীরু ও তার সহযোগীরা মুরাদকে খুনের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই মুরাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। 

 

অভিযোগের বিষয়ে শুক্রবার রাতে তদন্তকারী অফিসারের সাথে সাথে কথা বলার জন্য তিনি ও তার ভাই থানায় আসে। তিনি ও তার ভাই থানার সামনে যাওয়ার পর পরই মীরু গংদের ইন্ধনে মীর সোহেল, শাহিনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ তাকে মারপিট করে ফতুল্লা বাজারের ভিতরে নিয়ে যায়।

 

এরপর সেখানে তাকে মারপিট করে। এসময় মীর সোহেল তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এসময় মীর সোহেল তাকে তাকে বলে ‘তুই থানায় আসছিস কেন? থানা আমার বাড়ী ঘর। তুই এখানে এসে কিছুই করিতে পারবি না। তুই যদি ভাল চাস তাহলে থানায় অভিযোগ না দিয়ে বাড়ী চলে যা। তা না হলে তোকে খুন করে লাশ গুম করে দিব।’

 

তিনি আরো জানান, রাত ৯ টার দিকে তিনি আবার থানায় প্রবেশের সময় মীর সোহেল তার লোকজন নিয়ে থানা হতে বের হচ্ছিলেন। এই সময় সেলিম ও মুরাদকে থানায় প্রবেশ করতে দেখে মীর সোহেল তার (সেলিমের) কলার ধরে এবং তাহার সাথে থাকা শাহীন সহ অন্যারা তাকে কিলঘুষি মেরে থানা থেকে বাইরে যেতে বলে।

 

কিছুক্ষণ পর সে আবার থানায় অবস্থান করার সময় মীর সোহেল তার লোকজনসহ তাকে মারার জন্য উদ্যত হয়। এরপর মীর সোহেল তার হাত ধরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামানের রুমে নিয়ে গিয়ে তাকে লকাপে ঢুকাতে বলেন।

 

অপরদিকে, সেলিমের বড় ভাই মুরাদের স্ত্রী রুমা ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি মীর হোসেন মীরুকে প্রধান আসামী করে তিনি অভিযোগটি দেন। 

 

অভিযোগে রিমা উল্লেখ করেন, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মীরুর নির্দেশে তার সহযোগীরা পূর্ব শত্রুতার কারনে পাগলা বৌ বাজার মল্লিক বাড়ীর মাঠে তার স্বামী মুরাদ ও লিমনকে মারপিট করে। এসময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও তারা লুট করে বলে অভিযোগে উল্লেখ। আহত দুজনকেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাতেই চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।

 

যে কারনে ফের উত্তপ্ত কুতুবপুর :

মীর হোসেন মীরু অরেকটা জোর করেই শাহী বাজার সমবায় সমিতির সভাপতির পদ দখল করে অভিযোগ রয়েছে। সভাপতি হওয়ায় সে ব্যবসায়ীদের সমিতির টাকা আত্মসাৎ করা শুরু করে বলে অভিযোগ উঠে। কিন্তু ভয়ে ব্যবসায়ীরা কোন কথা বলতে পারেনি। গেল ঈদ উল আযহার সময় পাগলা এলাকায় একটি অস্থায়ী হাট ইজারা নেয় মীরু ও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। 


মীরু এ সময় সমিতি থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে গরুর হাটে খরচ করে। এর মধ্যে সমবায় কর্মকর্তাদের কাছে টাকা আত্মসাৎতের একটি অভিযোগ যায় মীরুর বিরুদ্ধে। জেলা সমবায় অফিসার সমিতি সদস্যদের বক্তব্য শুনে মীরুর পদ থেকে আইনগত চিঠি দেয়। এবং আগামী ডিসেম্ববর মাসে একটি নির্বাচনেরও দিন তারিখ ঠিক করে। এদিকে মীরুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা থাকায় মীরু গা ঢাকা দিয়ে আছেন বলে একটি সূত্র জানায়।

 

এলাকাবাসী জানায়, মীরু ও তার সাথের বেশ কয়েকজন এলাকার একটি জমির দালালী করে। সেখান থেকে ৫ লাখ টাকা দালালী আসার কথা। সম্প্রতি ৫ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা দালালী আসে মীরুর সাথের লোকজনের কাছে। 

 

এসময় মীরু তার লোকজনদেও সেই ১ লাখ টাকা সমিতির ফান্ডে জমা দিতে বলেন। কিন্তু তার সাথের লোকজন ৫০ হাজার টাকা নিজেরা রেখে মীরুর কাছে ৫০ হাজার টাকায় পাঠায় এতেই ক্ষিপ্ত হয় মীরু।

 

জানা গেছে, এসপি হারুন থাকাবস্থায় মীরু বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। মামলার পর পরই মীরু গা ঢাকা দেয়। এসময় মীরুর একটি সিমেন্টের দোকান ও ডিস লাইনের ব্যবসার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় মীরু সাথে এক সময় থাকা হাবিবুল্লাসহ বেশ কয়েকজন। এ নিয়েও বিগত কয়েক মাস যাবৎ মীরু বাহিনীতে ফাটল দেখা দেয়। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।

 

অশান্ত কুতুবপুর :

কুতুবপুর ইউনিয়ন। ঢাকার কদমতলী থানার কোল ঘেঁষা এই ইউনিয়নের অবস্থান। অনেক আগ থেকেই কুতুবপুরের পাগলা শাহী বাজার, নন্দলালপুর, চিতাশাল, মুসলিমপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলমান। 

 

উল্লেখিত ইউনিয়ন বাসীর প্রতিদিন রাত কাটে আতংকে। খোদ পুলিশ প্রশাসনকেও উল্লেখিত ইউনিয়নের সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়। দিনের পর দিন আধিপত্য বিস্তার তথা মাদক, জবর দখল, ভুমি সন্ত্রাসীসহ প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে কুতুবপুরে চলছে হত্যাযজ্ঞ। 

 

সর্বশেষ এই ইউনিয়নে জনতালীগ সভাপতি ও একাধিক মামলার আসামী শেখ স্বাধীন হোসেন মনির হত্যাকান্ডের শিকার হয়। কুতুবপুরে নিহত সন্ত্রাসী তোফাজ্জল ও মেছেরের পথ ধরেই এখনো চলছেন বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী। দিন দিন বেড়ে চলছে কুতুবপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। 

 

অভিযোগ রয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতারাও কুতুবপুরে দ্বন্ধের অবসান করতে পারেনি। বরং নেতাদের দিক নির্দেশনার অভাবে কুতুবপুওে বেড়েছে অপরাধ। কুতুবপুরে আওয়ামীলীগে যতোটা ভাগ রয়েছে বিএনপির ক্ষেত্রে তা নেই। দলীয় কর্মকান্ডের বাইরেই থাকেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের লোকজন। 

 

আওয়ামীলীগের দলের বিভাজনে গুছাতে থানা কমিটির এইচএম ইছহাক, হাজী ইউনুস দেওয়ান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ইউনিয়ন সভাপতি হাজী মো.জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মানিক চান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ প্রভাবশালী নেতারা আছেন নিরব ভূমিকায়। 

 

যার কারনে কুতুবপুর ইউনিয়নে দ্বন্ধ দিন দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ পর্যন্ত কুতবপুরে যতোগুলো হত্যাকান্ড ঘটেছে তার বেশির ভাগই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই। লোমহর্ষক হত্যাকান্ডগুলোর কথা ভেবেই কুতুবপুরে মানুষ জীবন যাপন করে এলাকায়।  
    
কুতুবপুরের আলোচিত হত্যাকান্ড :

কুতুবপুরে আলোচিত হত্যাকান্ড ও হামলাগুলো হচ্ছে- পাগলা চিতাশালে দেলোয়ার শাহাজাহান জোড়া মার্ডার, শাহী বাজার আকন পট্রিতে কবির ও ভুট্টু জোড়া মার্ডার, নীরব মার্ডার, কদম তলীর ওয়াসায় কালু মার্ডার, দৌলতপুরে সাডি বাবলু ও টিটু জোড়া মার্ডার, মুন্সিখোলা তেলকলে ব্লাক আনোয়ার মার্ডার, রসুলপুর ওয়াসা খালপাড়ে ইদ্দি মার্ডার, রসুলপুর বাগান বাড়িতে আলীগঞ্জের শহীদ মার্ডার, রসুলপুর বাগান বাড়িতে শাহী বাজারের সাইফুল মার্ডার, কদম তলীর মোহাম্মদ বাগে নাডা জুয়েল মার্ডার, শাহী বাজারে মামুন মার্ডার, শাহী বাজারে দৌলতপুরের শফিক মার্ডার, শাহী বাজার আমতলায় রুবেল মার্ডার, মুন্সিবাগে কবির মার্ডার, চিতাশালে যুবদল নেতা অন্তু মার্ডার, নয়ামাটিতে যুবদল নেতা মোল্লা মার্ডার, পাগলা কালামপুরে পাপ্পু মার্ডার, পাগলা মতিবাগানে রবিন মার্ডার, পাগলা মুন্সিখোলায় জুঁই মার্ডার, পাগলা মুন্সিখোলায় পাঙ্খা দেলোয়ার মার্ডার, পাগলা দেলপাড়ায় আফজালের দুটি চোঁখ উত্তোলন, পাগলা বৈরাগী বাড়ির মালেক মার্ডার, পাগলা বউ বাজার রেল লাইনের পাশে মুন্সিখোলার সালাউদ্দিন মার্ডার, পাগলা চাকদা রোলিং মিলের হুজুর মার্ডার, পাগলা দক্ষিণ রসুলপুরে সাংবাদিকের ভাতিজা রুবেল মার্ডার, তুষার ধারায় জসিম মার্ডার, শাহী মহল্লায় নাজমুল মার্ডার, পাগলা শাহী বাজারেনারায়ণগঞ্জের দুটি ছেলের ৪টি হাত কেটে ফেলা, রসুলপুরে খোরশেদকে কুপিয়ে যখম, পাগলা বউ বাজারে মোশারফের একটি পা কেটে ফেলা, পাগলা বউ বাজার বটতলায় স্কুল ছাত্র শুভ মার্ডার, পাগলা বউ বাজারে আলী হোসেন মার্ডার, পাগলা দক্ষিণ রসুলপুরে সায়মন মার্ডার, পাগলা শাহী বাজার আমতলায় জুরাইনের ভুটটু মার্ডার, পাগলা রসুলপুরে জালাল মার্ডার, পাগলা নূরবাগে আলম মার্ডার, আলীগঞ্জের বারেক চেয়ারম্যানের ছেলে মাসুদ মার্ডার, দেল পাড়ায় মাদ্রাসা ছাত্র মোহাম্মদ মার্ডার, রসুলপুরে আনসারের ছেলে ইয়ামিন মার্ডার, ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চলতি বছরে শাহী মহল্লা আমতলা এলাকায় শাহজাহান মার্ডারসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে।  

এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে অর্ধডজন সন্ত্রাসী বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে এই ইউনিয়ন বা এর বর্ডার এলাকায়। সম্প্রতি পুনরায় শুরু হয়ে কুতুবপুরে উত্তেজনা। এবার কে হবেন হত্যাকান্ডের শিকার এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

 

মীর সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি যা বললেন :

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন বলেন, বাদীর অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি কাউকে ছাড় দেবো না। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কেউ পাড় পাবে না।  সে যে-ই হউক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

মীর সোহেল যা বললেন :

মীরু স্বেচ্ছা সেবকলীগ করেন। কিন্তু এলাকায় মীরু কোন অপরাধ করলে আমার নাম সেখানে জড়িয়ে দেন অনেকে। এটা কেনো করেন তা আমার বোধগম্য নয়। 

 

শুক্রবার রাতে থানায় সেলিম বা তার ভাইকে হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ন বানোয়াট। আমি কেনো তাদের হুমকি দেবো। একটি পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে।  

এই বিভাগের আরো খবর