বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আপনারা আমাদের দূরে ঠেলে দিবেন না : এসপি জায়েদুল

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ জনগণের বন্ধু’ উল্লেখ করে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, পুলিশ রাত-দিন আপনাদের জন্য পরিশ্রম করে। এটাই তার কাজ। তারপরও আমাদের ভুল হতে পারে। আপনারা সে ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমাদের সংশোধন করার সুযোগ দিবেন। আপনারা আমাদের দূরে ঠেলে দিবেন না।

 

আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশ একা কিছু করতে পারবে না। আপনাদের যেকোন অভিযোগ নিয়ে আমার অফিসে চলে আসবেন। আমার অফিসে ঢুকতে কারোর অনুমতি লাগে না, কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না। আমাকে আপনাদের যেকোন ভালো কাজে পাবেন। সামাজিক আন্দোলনেও আমাকে পাবেন।


বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় সদর মডেল থানা পুলিশের ‘ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে উকিলপাড়া ও তার আশেপাশের এলাকাবাসী তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অধিকাংশের মুখেই মাদকের সমস্যাটি শোনা যায়। বিশেষ করে বোয়ালিয়া খাল এলাকায় মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি উল্লেখ করেন।

 

বোয়ালিয়া খাল এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ী কিংবা ক্যাম্প স্থাপনেরও দাবি তোলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সালাম। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে মাদকের কেনা-বেচা চলে উল্লেখ করে এলাকাবাসী সেখানে পুলিশ টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানান এসপির কাছে।


পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ডান-বাম, উত্তর-দক্ষিণে না তাকিয়ে নিরপেক্ষ কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। মাদকের গডফাদারদের প্রশ্রয় দেবো না। ডান-বাম, উত্তর-দক্ষিনে তাকাবো না। সবসময় নিরপেক্ষ থেকে কাজ করবো।


আমরা মাদক চাই না। পুলিশ আর জনগণের মধ্যে পার্থক্য দেখি না। মাদক নির্মূলে আমরা একত্রে কাজ করবো। মাদকের সাপ্লাই বন্ধ করতে বিজিবিসহ একাধিক সংস্থা কাজ করছে। মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকের চাহিদা কমাতে হবে। কেননা চাহিদা কমলে সাপ্লাই এমনিতেই কমে যাবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।


তিনি আরও বলেন, এখন তো মাদক ব্যবসায়ীর থেকে খাদক বেশি। পুলিশ কেবল মাদকসেবী ধরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের কাজ তো কেবল মাদকসেবী ধরা না। পুলিশের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করা। একজন বলেছেন, পাশের ঘরে ছেলে-মেয়ে কি করতেছে সেটার খবর রাখে না বাবা-মা। ছেলে-মেয়ে স্কুল ড্রেস পড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পার্কে চলে যাচ্ছে। এদিকে খোঁজ  খবর রাখতে হবে।

 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ডা. শাওনেওয়াজ চৌধুরী, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি এম সোলায়মান, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, নাসিক ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান প্রমুখ।
 

এই বিভাগের আরো খবর