মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউঃ কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন পলাশ

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রির্পোটার (যুগের চিন্তা ২৪) : বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন এর কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপরে পাগলা বাজার এলাকায় পাগলা শাখার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য কাউসার আহম্মেদ পলাশকে সমর্থন করা হয়।


সভায় সভাপতির বক্তব্যে কাউসার আহম্মেদ পলাশ বলেছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব নেয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু সভাপত্বি আমি চাইনি। কারণ কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগ্য সভাপতি ছিলো। বর্তমানে সভাপতির দ্বায়িত্বে যিনি আছেন তার বির্তকিত কর্মকান্ডে আমার ট্রাক শ্রমিকরা তাদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি পাগলা শাখার অফিস ভাংচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন।

 

আমাকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও গুরুত্বপুর্ণ শাখার নেতৃবৃন্দ সভাপতি নির্বাচন করার জন্য বলছেন। তাদের বলেছি আমার ঘর থেকে মানে পাগলা শাখার নেতৃবৃন্দ সর্মথন করলে আমি নির্বাচন করবো। আজ আপনারা আমাকে সমর্থন করেছেন তাই আমি নির্বাচন করার সম্মতি প্রকাশ করছি। তিনি আরো বলেন, আমি পাগলা শাখার সভাপতি হওয়ার পূর্বে পাগলা শাখার সদস্যরা মার হলে ও নির্যাতনের শিকার হলে বিচার করেছে বাজার সমিতি ওলারা আর পাগলা শাখার নেতারা বসে খেকেছে, ভয়ে কেউ মুখ খোলে নাই।

 

আমি যখন সভাপতি হলাম তখন থেকে বাজার সমিতি নেতারা আমার শাখার সদস্যদের উপর নির্যাতন করা দুঃসাহস পায়নি বরং পূর্বে যে অন্যায় ভাবে মারধর করেছে সেগুলোর জন্য সমিতির নেতাদের কৈফত দিতে হয়েছে। কাউকে পাল্টা ধোলাই দেওয়া হয়েছে। সদস্যদের দোষগুনের বিচার শাখার কার্যালয়ে হয়েছে। পূর্বে ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছি। আমার প্রথম নির্বাচনি ওয়াদা ছিলো পাগলা শাখার একটি ট্রাক টার্মিনাল করবো, করেছি।


পলাশ বলেন, ট্রাক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সচিব হিসেব আমি সারা বাংলার ট্রাক শ্রমিকের পক্ষে আন্দোলনের ডাক দিয়ে ৭ দফা দাবি নিয়ে আমরা সারা বাংলাদেশকে স্তব্দ করে দিয়েছিলাম। পরিবহন জগতে এত বড় সমাবেশ মতিঝিল বক চত্তরে যেটা ঘটে ছিলো এরকম একটা সমাবেশ বাংলাদেশে দ্বিতীয় একটা হয়নি। আমি পাগলা শাখার সভাপতি হয়েও আমাকে অনেক সময় ফেডারেশনের প্রতিনিদিত্ব করতে হয়েছে।

 

বিভিন্ন সময়ে টেলিভিশনের টকশোতে মুন্নি সাহা সহ অনেক সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে হয়েছে। টকশোতে আসা অনেকেই পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কথা বলে আমাকে পরাজিত করার চেষ্ঠা করেছে। কিন্তিু পারেনি। এছাড়াও পাগলা শাখার সভাপতি হয়েও কেন্দ্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ন দ্বায়িত্ব পালন করেছি।

 

সারা দেশে পরিবহন সেক্টরের আন্দোলনে আন্তঃজিলা ইউনিয়ন পাগলা শাখার অংশগ্রহন মধ্যদিয়েই আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছে উল্লেখ করে শ্রমিক নেতা পলাশ বলেন, সারাদেশে ট্রাক শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়নের শপথ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী হবো। ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোট আপনার আমানত তাই যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিলে ছোয়াবের অধিকারী হবেন তেমনি খারাপ ও অপরাধিদের ভোট দিলে তার খারাপের পাপের অংশিদারও আপনি হবেন।


মতবিনিময় সভায় সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন পাগলা শাখার কার্যকরি সভাপতি বাবুল আহম্মেদ, শাখার সাধারণ সম্পাদক জজ মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক বশির মিয়া ও সাবেক নেতৃবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও হোসেন ফরাজি লোকমান সহ পাগলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দ, কমিটির সাবেক নেতৃবৃন্দ ও পাগলা শাখার অর্ন্তভুক্ত ট্রাক চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আসন্ন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর ঢাকার মিরপুর গাবতলিতে সাধারন সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সহ সভাপতি সাদিকুর রহমান হীরুকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আরেক সহ সভাপতি মফিজুর রহমান বেপুকে সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।

 

উল্লেখ্য, আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন ট্রাক চালকদের দেশের সবচেয়ে বড় সংগঠন। এই সংগঠনে সারা দেশে মোট শাখা ২৭৫ টি ও সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা মোট ২৯ হাজার ৪ শ ৮০ জন।
 

এই বিভাগের আরো খবর