শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

আদমজী ইপিজেডের ৬০ হাজার শ্রমিক কাল কাজে ফিরছে 

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২০  

সিদ্ধিরগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : আদমজী ইপিজেডের ৫৯টি কারখানার মধ্যে ৫০টির বেশি কারখানা শনিবার থেকে আবারো খুলছে। প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজে ফিরবে। ভয় আর শংঙ্কা নিয়েই এসব শ্রমিকেরা কাজে ফিরছে। গত ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়েছিল কারখানাগুলোতে।

 
২৭ মার্চ মোবাইল ফোনে খুদে বার্তায় সকল শ্রমিকদের ওই ছুটির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ছুটি পেয়ে বহু শ্রমিক দূর-দূরান্তের গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। সেসব শ্রমিক গণপরিবহণ বন্ধের মধ্যেই আজ আবার নানা ভোগান্তি করে ফিরে আসছে। আর এই ফিরে আসার মাঝে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর শংকা রয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাঝে। 


জানাগেছে, আদমজী ইপিজেডে বর্তমানে ৫৯টি শিল্প কারখানায় ৬২ হাজার ২০০ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। এরমধ্যে ৬টি কারখানায় কোন অর্ডার না থাকায় লে-অফ করা হয়েছে। জাপানী একটি প্রতিষ্ঠানে কাল শ্রমিকদের আসতে বলা হয়নি। বাকী ৫২ টি কারখানায় প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা কাজ করেন। কারখানাগুলো শতভাগ রফতানীমুখি পণ্য উৎপাদন করে তা রফতানী করে। এসবের মধ্যে, পোশাক কারখানা, জুয়েলারী কারখানা, জুতা ও চামড়া জাতীয় পণ্য তৈরির কারখানা, কেমিক্যাল ও সার উৎপাদন কারখানা, টেক্সটাইল এবং গার্মেন্ট একসেসরিজ উৎপাদনের কারখানা রয়েছে।


ইপিজেডের একাধিক কারখানার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে তাদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। আবার সঠিক সময়ে পণ্য উৎপাদন করে তা শিপমেন্ট না করতে পারলে এয়ার শিপমেন্ট করতে হবে। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। বড় বড় কারখানাগুলোই এই ক্ষতির মুখে পড়বে।


বিদেশী একটি কারখানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সমস্যা হল, যেসকল শ্রমিক ছুটি পেয়ে গ্রামে গেছেন এবং তারা এখন ফিরছেন কাল থেকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা বিভিন্ন বাহনে গাদা-গাদি করে আসছেন। তারা ফিরছেন চাকুরী হারাবার ভয়ে। এই আসার মধ্যে কোন একজন শ্রমিকও যদি অন্য কারো মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন তাহলে সে কিন্তু সপ্তাহ খানেক এর মধ্যে বুঝতে পারবে না। ওই শ্রমিক নিয়মিত কাজ করবে। আমরা কারখানার ভিতরে না হয় সব সুরক্ষার ব্যবস্থা করলাম। কিন্তু সাত দিন কিংবা এর পরেও যদি একজন শ্রমিকের মাঝে করোনার সংক্রমন ধরা পড়ে তখন ওই কারখানাটি পুরোপুরি লকডাউন করা হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন- তখন পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে? 


জাপানভিত্তিক ওকোহামা গ্রুপের গার্মেন্টস একসেসরিস তৈরি কারখানার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল কর্মকর্তারা বসে সিদ্ধান্ত নিবেন কী করা যায়। শ্রমিকেরা আসবে না। এই কারখানায় শ্রমিক রয়েছে ৩২০ জন।


এ ব্যাপারে আদমজী ইপিজেডের কাউন্সিলর হারুন-অর রশীদের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আগামী কাল বুঝা যাবে কতটি কারখানা খোলা হয়।  

এই বিভাগের আরো খবর