শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আজমেরীকে রিমান্ডে নিয়ে বের করা হোক, কার নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা ?

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক ও নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি বলেছেন, আজমেরী ওসমানকে রিমান্ডে নিয়ে কার নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে? সেটা বের করার দাবি জানিয়ে আমরা নুসরাত হত্যার বিচার চেয়েছি এরপর কয়েক মাসের মধ্যে নুসরাত হত্যার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে এবং বিচার সংগঠিত হয়েছে। 


আবরার হত্যা সেই দিনের ঘটনা দু’মাস দেড় মাসের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে এবং সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সরকার এ বিষয়গুলো চেয়েছে তাই হয়েছে কিন্তু ত্বকী হত্যার বিষয়ে, ত্বকী হত্যার এক বছরের মধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব বলেছে, নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবার তাকে হত্যা করেছে। তাদের (ওসমান পরিবার) নেতৃত্বে ১১জন তাদেরকে হত্যা করেছে। 


রোববার সন্ধ্যায় নগরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮১ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আয়োজনে ধারাবাহিক মোমশিখা প্রজ্জ¦ালন কর্মসূচীতে নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, যেই ১৬৪ ধারার জবানবন্দি আমাদের সামনে হাজির করা হয়েছে সেখানে তারা সু-নিদৃষ্ট ভাবে নাম উল্লেখ করেছে যে, এরা এরা ত্বকীকে হত্যা করেছে। এই আজমেরী ওসমানের টর্চারসেলে রাত ১২টার মধ্যে হত্যা করেছে। শীতলক্ষ্যায় গাড়ী নিয়ে ত্বকীকে ফেলে দিয়েছে এগুলো সমস্ত কিছু প্রচার করেছে এবং প্রকাশ করেছে। 


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, কারা ত্বকীকে হত্যা করেছে সমস্ত বিষয় আমি জানি। হত্যাকরীদের বাহিরে যেতে সহযোগীতা করেছে তাও আমি জানি। কিন্তু তিনি বিচার করছেন না। ত্বকীর ঘাতক যারা, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই এবং ১৬৪ ধারায় জবান বন্দীতে আজমেরী ওসমানের নাম এসেছে যে, তার টর্চারসেলেই ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে। 


আমরা দাবি জানাই আজমেরী ওসমানকে রিমান্ডে নিয়ে, তার মুখ থেকে বেরকরা যে, কার নির্দেশে সে ত্বকীকে হত্যা করেছে? এবং তাকে রিমান্ডে নিয়ে আমরা জানতে চাই, আমরা যে অভিযোগটা ৭বছর ধরে করে আসছি শামীম ওসমানের নির্দেশে তার ছেলে ও তার ভাতিজা ত্বকীকে হত্যা করেছে।


তিনি আরো বলেন, ত্বকীর ঘাতকরা নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ ফেরি করে বিক্রি করে এবং তাদের ধারণা মুক্তিযুদ্ধের ঠিকাদার তারা। অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজাকার আলবদর যারা ছিলো তারা সবাই তাদের চারপাশে ঘুরঘুর করে। তারা এই রাজাকারের উত্তরসূরীদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে বসায়, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সংগঠনে তারা তাদের সহযোগী করে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তারা সহযোগী করে কিন্তু তারাই আবার মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। এবং অন্যদেরকে তারা রাজাকার আলবদর বলতে চায়।

 

এবং তাদের অন্যায়ের যারা প্রতিবাদ করে তাদের তারা রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে। কারা রাজাকার ছিলো, কারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলো সব আমরা জানি। সুতরাং, নতুন করে আজকে আবার ইতিহাস হাজির করা হবে এবং জনগণ তা খাবে এটি মনে করার কোন কারণ নেই। তাই নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা সাজলে হবে না।  


নারায়ণগঞ্জ সাংষ্কিৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক, নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সংগঠনের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, ন্যাপ জেলা কমিটির সম্পাদক আওলাদ হোসেন, খেলাঘর আসর জেলা কমিটির সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, ওয়াকার্স পার্টির জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, গণসংহতি আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন প্রমুখ।
 

এই বিভাগের আরো খবর