শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আজমেরী ওসমানের জবানবন্দীতেই শামীম ও অয়ন ওসমানের নাম প্রকাশ হবে

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেছেন, আজকে ত্বকী হত্যার সাড়ে ছয় বছর। আমরা যে বিষয়টি দেখলাম ২দিন আগে ত্বকীর ঘাতক আজমেরী ওসমান কালীবাজারে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করতে গিয়ে সেটা না পেয়ে  তাকে মারধরের জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতারের অভিযান চালিয়েছে। 


তাকে এখন খুজে বেড়াচ্ছে এবং সে পালিয়ে রয়েছে। অথচ ত্বকী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত গুরুত্বর অপরাধে তাঁকে ধরা হচ্ছেনা শাস্তি দেয়া হচ্ছেনা। আমরা দাবি জানাচ্ছি ত্বকী হত্যার মূল অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানকে গ্রেফতার এবং ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দী গ্রহনের জন্য। 


কারন আমরা জানি যে, আজমেরী ওসমানের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতেই শামীম ওসমান ও তাঁর ছেলে অয়ন ওসমানসহ আরো বিভিন্ন নাম প্রকাশ হবে। তাই আমরা দাবী জানাচ্ছি তাকে গ্রেফতার করে তাঁর জাবানবন্দীর মধ্যে দিয়ে অন্যান্য যারা এটার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক। 


রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের ডিআইটি‘র আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার ও নগর মিলনায়তনে প্রাঙ্গণে ত্বকী হত্যার ৭৮ মাস উপলক্ষ্যে মোমশিখা কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন। 


তিনি আরো বলেন, আজকে এই ৮ সেপ্টেম্বর আমাদের নারায়ণগঞ্জের তরুণ সাংবাদিক শাহরিয়াজ শুভ্র নিহত হয়েছে। এবং আজকে তাঁর দুই বছর কিন্তু এই দুই বছরেও প্রকৃত অর্থে তাঁর মামলার কোন অগ্রগতি কিছুই হয়নি। আমরা আজকে এই এই মানববন্ধন থেকে দাবি জানাচ্ছি এই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার। কি কারনে আজকে এই ত্বকীর হত্যাকারীরা ক্ষীপ্ত হয়েছে? 


তাঁদের ধারনা হচ্ছে তাঁরা খুন করবে, সন্ত্রাস করবে, মাদকের ব্যবসা করবে আইন তাঁদেরকে ছুঁবে কেন? আইন তাঁদেরকে ধরবে কেন? যখন নাকি তাঁরা দুইচার জায়গায় ধরা পরছে তখই তাঁরা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেছে। এবং বাস্তবতাটা কি এটা কিছুক্ষণ আগে আমাদের রথিন‘দা বলেছেন। যে, কিসের সরকার এটা; যেই পুলিশ তাঁদেরকে এমপি বানালো পাশ করালো এবং পুলিশ যদি আগের রাতে ভূমিকা না নিতো অধিকাংশ জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এইটা সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সবাই জানে। 


এবং আমরা বাংলাদেশের জনগন যারা তাঁরাও জানি। নির্বাচনে কিভাবে তাঁরা ভোট পেয়েছে? সকল কৃতিত্ব প্রশাসনের এই কর্মকতাদের। সুতরাং তাঁরা যদি বলে এই দেশটায় আমরাই ক্ষমতাধর সেটি মিথ্যা কিছু বলার উপায় নেই। আর আমাদের সামনে উৎথাপিত হয়েছে আসলে কে ক্ষমতাধর এই মন্ত্রী এমপি না পুলিশ। এই জন্যই মন্ত্রী এমপিদের কথা পুলিশ প্রশাসন শুনছেনা।


এটি একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য ভয়াবহ আলামত। আই আমরা বলতে চাই রাষ্ট্র পরিচালনা জনগনের শক্তির উপর দিয়েই করতে হবে। প্রশাসন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা ক্ষমতায় টিকে থেকে, এটি সটিক নয়। এবং ত্বকীসহ নারায়ণগঞ্জের সকল হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি এই হত্যাকান্ডগুলোকে ধামাচাঁপা দিয়ে কোন লাভ নেই। আপনারা এই হত্যাকান্ডগুলো ধামাচাঁপা দিচ্ছেন কারন দেখছেন এগুলোর সাথে সরকার দলের লোকজন জড়িত। আর আপনারা যদি এই বিচার করেন তাহলে আপনাদের জন্যই মঙ্গল। 


নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শঙ্কর রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় এই মোমশিখা কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, খেলাঘর আসর জেলা কমিটির সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, ন্যাপ জেলার সম্পাদক আওলাদ হোসেন, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সমমনা সভাপতি দুলাল সাহা, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন প্রমুখ।
 

এই বিভাগের আরো খবর