শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আগে নিজেরা আনন্দ করতাম, এখন ছেলে মেয়েদের আনন্দ দেখি : আরজু ভ্ইূয়া

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৮   আপডেট: ১২ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া। ঈদ উদযাপন করতে লন্ডনে মেয়ের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও এবার নেতাকর্মীসহ সকলের সাথে ঈদ উদযাপন করতেই গ্রামের বাড়ি আরজু প্যালেসে ঈদ পূণর্মিলনীর আয়োজন করেছেন তিনি।

ঈদের দিন পুরোটা সময় ব্যস্ততার মধ্যে কাটে জানিয়ে যুগের চিন্তা ২৪’কে আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, মেয়ে, মেয়ে জামাই, নাতির জন্য ঈদেও কেনাকেটা করে ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। রমজানে আমার ইফতার পার্টি, যাকাত দেয়াও সম্পন্ন হয়ে গেছে। ঈদের দিন সকালে আমি আমার গ্রামের বাড়ি মদনপুরে যাই। সেখানেই ঈদের নামায আদায় করি। আমার এলাকার আপনজন, আত্মীয়-স্বজন, নেতাকর্মীদের নিয়ে আরজু হাউজে একটি ঈদ পূণর্মিলনী করি। দুপুরের খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করে নারায়ণগঞ্জে চলে আসি। বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে রাজনৈতিক বন্ধুদের সাথে আলাপ-আলোচনা করি। ঈদের আনন্দ যাতে সবাই পায় সে দোয়া করেই আসলে ঈদ উদযাপন করি। ছোট বেলায় ঈদে প্যান্ট-শার্ট আর টি-শার্টের প্রতি অনেক ঝোঁক ছিলো জানিয়ে আরজু রহমান ভ্ইূয়া জানান, ঈদের সালামী নিতে যেতাম বোনদের কাছ থেকে।

নতুন টাকা পেয়েই আইসক্রিম কিনে খেতাম। ঈদের খাবার আয়োজনে পোলাও, গরুর মাংস, খাসির মাংস আমার খুবই পছন্দ। আগে ঈদে আমরা অনেক আনন্দ করতাম। আর এখন আমাদের ছেলে- মেয়ের আনন্দ দেখি। এবারের ঈদে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার প্রার্থীতা করার ইচ্ছা আছে। নেতাকর্মী ও সহকর্মীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিয়ে এবারো এখানেই ঈদ উদযাপন করবো। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে আরজু রহমান ভূইয়া আর্জেন্টিনার সমর্থক। তিনি বলেন, আমার বাসার বেশিরভাগই আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমার স্ত্রী ও মেয়ে-ছেলে সবাই আর্জেন্টিনার সমর্থক। আর্জেন্টিনা খারাপ হোক আর ভালো হোক সবাই আর্জেন্টিনার সমর্থক। ঈদের মজার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, পাকিস্তান আমলে ঈদের দিন আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরে আসতেছিলাম।

তখন পাকবাহিনী আমাদের কাঁচপুরে থামিয়ে দিয়েছিলো। ভয়ে আমরা নদীতে গিয়ে পড়েছিলাম। তা দেখে তারা শুধু শুধু হাসাহাসি করতেছিলো। তারপর চলে গেলে আমরা ভেজা কাপড় নিয়েই আবার গ্রামে ফিরে যাই। একাকী ঈদের আনন্দ উদযাপনের স্মৃতিচারণ করে আরজু রহমান ভূইয়া জানান, ১৯৬৪ সালে আমার বাবা মারা যান, তোলারাম কলেজের ভিপি হওয়ার কিছুদিন পর আমার মা মারা যান। সে সময় আমি বাসায় একা। তো ঈদে বোনদের বাসায় চলে যেতাম। বিকেলে কলেজের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বাকিটা সময় কাটাতাম। যখন রাজনীতি পুরোদমে করি আর ছেলে- মেয়েও রয়েছে সংসারে এখন বোনদের বাসায় যাওয়া খুব কম হয়।

এই বিভাগের আরো খবর