শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আগমনী

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

এসো গো মা আমার শারদীয়া
শরতের শুভ্র কাশফুল,
ভরেছে তটিনী কুল।

 

আজই-এ-জগৎ ব্যাকুল সাড়া,
পত্র-পল্লব বৃক্ষে সজ্জিত ধরা।
গান গায় মন তোমারী স্মরণে,
স্বাগতম জানাই দেবী তোমায় প্রতিক্ষণে।

 

রুক্ষ প্রাণে আজ-এ-অনুনয়,
কর-এ-ধরনী সুধাময়।
চন্দ্রন্যায় পুলিকত বদন,
জাগে আঁখি যদি দাও দর্শন।

 

মা বলে ডাকি তোমায় নিশিদিন,
বিচঞ্চল প্রাণ কর বেদনাহীন।
ঐ-রক্তশোভিত চরণ পুষ্প করি নিবেদন,
যত আছে মোর ভক্তি প্রবঞ্চন।

 

স্বাগতম দেবী তোমায় স্বাগতম-
গগন, গিরি, মর্ত্য, ধরা একি বাণী শুনালে,
সমগ্র সংসার জাগিলো তালে তালে।
তোমারী স্মরণে শত যোগী দাসে,
পেল অমৃতের স্বাদ জীবন-উল্লাসে।

 

বাজিয়া একতারা মনোহরা তান,
জয়-হে-দেবী রচে’ছি তোমারী গান।
যত আছে জগতে মাধুরি,
সব রূপে পুলকিত দেবী তারই।
হাসিলে চন্দ্রমা ছড়াই শান্তি,
বেদনার প্রাণ স্পন্দনে মুছাই ক্লান্তি।

 

তোমারী স্নেহে জুড়াই প্রাণ অবিরত,
তোমার ছায়ায় তলে জাগিয়া মর্ত্য।
স্বাগতম দেবী তোমায় স্বাগতম-
উদিল সাধ আজ মনোঘরে,
শান্তির বারতা আনো কৃপা ভরে।

 

অন্তিম পীড়া বেদনা ত্রাসে,
ধরনীর মানবকূলে বাসে।
নিপাত কর দুর্গত ঘরে হাহাকার,
অশ্রুময় জীবনে আনো আলোকিত দ্বার।

 

ঘুচে যাক তবো সে কুৎসিত নিশি,
ফুটে উঠুক জীবন হয়ে নীলাম্বরের শশী।
তাই আজ কণ্ঠে বাণী তোমারী।
জাগো হে-মাতা তুমি প্রাণেশ্বরী।

 

দিপ্তীকিরণে সরোজ ফুটিলো জাগিয়া,
অপামার সঞ্চিত হইলো মুখরিয়া।
কাননে-কাননে হাসে পুষ্প ভরিলো অবনী,
স্বাগতম দেবী তোমার আগমনী।


সাগর দেব