বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের মতো উদার হতে পারবে কি জাতীয় পার্টি!

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় দুই বছর আগে জেলার পাঁচটি আসনে নিজ দলের প্রার্থী দেয়ার দাবি একটানা দাবি জানিয়ে এসেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোটগত কারণে জেলার দুটি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ।


তবে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মতো উদার হতে পারবে কিনা জাতীয় পার্টি এই প্রশ্ন রাখছেন খোদ আওয়ামী লীগের তৃণমূল। তাদের মতে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সেলিম ওসমানকে ঘোষণা করলে তাতে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।


জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১২ জন প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্তে যখন সেলিম ওসমানকে মনোনয়ন দেয়া হয় তখন কেউই এরবিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। 


উল্টো জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে সেলিম ওসমান মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। 


জেলার তিনটি উপজেলা আড়াইহাজার, সোনারগাঁ এবং রূপগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি ঘিরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশা ও ভরষার জায়গা ছিলো সবচাইতে বেশি। 


আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মূল দাবি ছিলো,  এই আসনটিতে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের এমপি না থাকার দরুণ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা শোষিত, নির্যাতিত, নিষ্পাষিত, নিপীড়িত এবং অবহেলিত। 


তাই আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে বাঁচিয়ে রাখতে এই আসনে নৌকার প্রার্থীর দাবি ছিলো তাদের। কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে জাতীয় নির্বাচনে ছাড় দিয়েছিলো। নেত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে অমান্য করেনি কোন আওয়ামী লীগ নেতা। 


বন্দর উপজেলা নির্বাচন ১৮ জুন। এই নির্বাচনকে ঘিরে আবারো আশাবাদী আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনে দলের বৃহৎ স্বার্থে আমরা জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিলাম। 


এখন আমাদের তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাঁচিয়ে রাখতে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হওয়াটা অত্যাবশীয় হয়ে পড়েছে। আমরা নেত্রীর অনুমতি নিয়ে জানপ্রাণ দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করবো। 


আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলছেন, জাতীয় পার্টিকে আমরা যেভাবে ছাড় দিয়েছিলাম এখন দেখার বিষয় তারা আমাদের মতো উদার হতে পারেন কিনা! আমরা ইতিমধ্যে তিনপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। খুব শীঘ্রই আওয়ামী লীগের প্রার্থী  চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেবেন সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দর অবস্থান পরিষ্কার হবে। বিএনপি প্রার্থী দেবে কি দেবেনা এটি পরের বিষয়। 


আমরা দলের স্বার্থে যেভাবে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিলাম এখানে এখন দেখার বিষয় তারা আওয়ামী লীগের মতো উদার কিনা! আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মতে, আওয়ামী লীগ একটি বড় ও শক্তিশালী দল। তৃণমূলকে নিয়ে দলের প্রার্থীর বিজয় কিভাবে ছিনিয়ে আনতে হয় তা জানা আছে এই দলের নেতাকর্মীদের। 


তবে ভোটগ্রহণের আগে যাদের মিত্রভেবে ছাড় দেয়া হয়েছিলো তারা আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ভালোটি চিন্তা করে কিনা নির্বাচনের আগে তাও পরোখ করে নেয়ার সুযোগ এই বন্দর উপজেলা নির্বাচন। 


মিত্র যদি বন্ধুর পরিচয় নাও দেয় তাও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী করার সক্ষমতা রয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের এমনটিই মত দলের নেতৃবৃন্দের। 
 

এই বিভাগের আরো খবর