শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ নেতা বীরুর ভাই চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.আবু জাফর চৌধুরী বীরুর চাচাতো ভাই সাগর চৌধুরীকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।


সিগমা ওয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মঈনুদ্দিন বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় গত রোববার সাগর চৌধুরীকে জামপুর ইউনিয়নের ওটমা এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 


মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁয়ের কুবাগা এলাকায় সিগমা ওয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.এ যাওয়ার রাস্তাটি একসময় কাঁচা ছিলো। যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তাটি ইট বিছানো হচ্ছিল। রাস্তাটির প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছিলো। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযোগের ৩০ ভাগ কাজ বাকি ছিলো। 


একাজটুকু আটকে দেয় আওয়ামী লীগ নেতা বীরুর ভাই সাগর চৌধুরী। সে এই কাজ শেষ করতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েই কাজ শেষ করতে হবে বলেও হুমকি দেয়। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বীরুর ভাই সাগর চৌধুরী নির্মাণাধীন রাস্তায় গিয়ে ভাঙচুর করে। 


প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার রিয়াজুল হক, এক্সিকিউটিভ একাউন্টস অফিসার তরিকুল ইসলামকেও মারধর করে। এছাড়া রাস্তার কাজ করতে থাকা মিস্ত্রীদের মারধর করে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়। সাগর চৌধুরী এসময় তাদের মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি দেয়। 


পরে এঘটনায়  সিগ্যমা ওয়েল লি.এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মঈনুদ্দিন বাদী হয়ে সাগর চৌধুরীকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। 


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহিদুল্লাহ বলেন, রাস্তার কাজ শেষ করার জন্য সাগর চৌধুরী সিগমা ওয়েল লি. এর কাছে চাঁদা দাবি করে। 


আমরা সে ধরণের স্বাক্ষ্য প্রমাণও পেয়েছি। স্থানীয় লোকজন সাগর চৌধুরীর এধরণের ঘটনার ব্যাপারে স্বাক্ষ্যও দিয়েছে। যার ভিত্তিতে সাগর চৌধুরীকে তার নিজ বাসা থেকেই আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম। আমরা সাগর চৌধুরীর ৫দিনের রিমা- আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছি। 


এদিকে জানা গেছে, সাগর খানকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন জায়গায় তাকে ছেড়ে দিতে সুপারিশ আসতে থাকে। তবে পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে সেগুলো কোন পাত্তাই পায়নি। 


সাগর চৌধুরীসহ আরো বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ডা.আবু জাফর চৌধুরী বীরুর নাম ভাঙিয়ে এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছিলো বলে অনেকে অভিযোগ করে আসছেন। এতোদিন তারা পেয়ে গেলেও পুলিশের অনড় অবস্থানের কারণে তারা আইনের আওতায় আসছে।


আর এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিকে চাঁদবাজির মামলায় সাগর চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন। বুধবার তার জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর