শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ৭ নির্দেশনা দিলেন কাদের

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

ডেস্ক রিপোর্ট : করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সারাদেশের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও মানুষের প্রতি সাতটি নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাগুলো উল্লেখ করা হয়। 

নির্দেশনাগুলো হলো-

 

১. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীগণ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে সারাদেশের জনগণের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কিত গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক তথ্য প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মসূচি পরিহার করবেন।

 

২. কোভিড-১৯ টেস্ট কিট ব্যবহারের জন্য ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও টেকনিক্যাল টিম অনুমোদিত হতে হয়। একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল দ্রুততম সময়ে করোনাভাইরাস টেস্ট করার কিট আবিষ্কৃত হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ধরনের কিটে প্রাপ্ত ফলাফল শতভাগ সঠিক না হওয়ায় ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও টেকনিক্যাল টিম সেটা অনুমোন দেয়নি। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবেন এবং জনগণকে সচেতন করবেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার করোনাভাইরাস টেস্টের পরিসর বিভাগীয় সদর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। চিকিৎসা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সেবা প্রার্থীর মধ্যে সমন্বয়ের জন্য যথাসাধ্য সহযোগিতা করবেন।

 

৩. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা চিন্তা করে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমারে পেশাদারী ও দায়িত্বশীল প্রশাসনের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মাঠে তৎপর রয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নিজেরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণকে তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবেন। সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে মানুষের মনে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করবেন এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করবেন।

 

৪. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির অভিভাবক হিসেবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া, সারাদেশে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ ও তা আরও জোরদার করা, গরীব-দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার বিতরণ, গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা ও গুজবে কান না দেওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা এর অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এগুলো মেনে চলবেন এবং জনগণকে মেনে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।

 

৫. খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খোলা বাজারে ওএমএস পদ্ধতিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও আটা বিক্রি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি ভর্তুকি প্রানের মাধ্যমে ট্রাকে করে সুলভমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি এবং ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল উপজেলাতে সুবিধাবঞ্চিতরে মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা ও শিশু খাদ্য প্রদান করা হচ্ছে। এ সকল কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সকল স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় প্রশাসনকে এই সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন।

 

৬. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় পর্যায়ে গরীব-অসহায়-দুস্থদের তালিকা প্রণয়ন করে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই তালিকা প্রস্তুতিতে ও এই কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন। 

 

৭. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য তথা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলার জন্য নিরলসভাবে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছেন। দেশবাসীর সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনই পারে ভয়াবহ এই সংকট থেকে আমাদের রক্ষা করতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর এই ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ধৈর্য্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও শেপ্রেমের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

এই বিভাগের আরো খবর