জঙ্গি-মাদক নির্মূলে পুলিশকে সহায়তার আহ্বান আইজিপির
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
যুগেরচিন্তা ২৪.কম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জঙ্গি এবং মাদক বড় চ্যালেঞ্জ। এই দুটিকে নির্মূল করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, ইতিমধ্যেই জঙ্গি দমনে যথেষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দেশের জনগণ ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহায়তায় সারা দেশ থেকে জঙ্গি দমন ও মাদক নির্মূল করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো জঙ্গি ধরা পড়েছে এবং যারা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে তাদের অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলের। উত্তরাঞ্চলের দুইটি বিভাগ রাজশাহী ও রংপুর রেঞ্জের মধ্যে জঙ্গির তৎপরতা বেশি করে মাথাচাড়া দিয়েছে। রংপুর রেঞ্জের ৮টি জেলার মধ্যে দিনাজপুরে বেশ কিছু অঞ্চলে জঙ্গির আস্তানা রয়েছে। যেগুলো পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে দমনে সচেষ্ট রয়েছে। তবে জঙ্গিদের মেরুদণ্ড অনেকাংশই ভেঙে গেছে। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। জঙ্গিরা যাতে পুনরায় সংগঠিত হয়ে দেশের ক্ষতি করতে বা নাশকতা কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে এর জন্য পুলিশ প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একইভাবে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে প্রত্যেক পরিবারকে তাদের সন্তানের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড দেখাশোনার জন্য সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্কুল-কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মাদকমুক্ত সমাজ ও জীবন গড়তে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে পাঠদান করতে হবে। তবেই যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব হবে। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, কমিউনিটি পুলিশিং জেলা শাখার আহ্বায়ক ডা. শহীদুল ইসলাম খান, সদস্যসচিব গোলাম নবী দুলাল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১৩টি উপজেলা কমিটির নেতারা। সভা শেষে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার শতাধিক মাদক বিক্রেতার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে শপথবাক্য পাঠ করান মওলানা জামাল উদ্দীন আহমেদ। আইজিপি একেএম শহীদুল হক তাদের স্বাবলম্বী করতে ১৭৬ জনকে সেলাই মেশিন ও ভ্যানগাড়ি প্রদান করেন। এর আগে চার কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি পুলিশ ফাঁড়ি ও মহিলা পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন করেন আইজিপি।
এই বিভাগের আরো খবর
- ধরা খেলেন শামীম ওসমান
- পদত্যাগ করার ঘোষনা দিলেন মেয়র আইভী
- আমার ভাই এমপি হিসেবে অনেক কিছুই বলতে পারেন : আইভী
- ওবায়দুল কাদেরের পা ধরেও কাজ করাতে পারেননি শামীম ওসমান
- আ’লীগের মনোনয়ন নিয়ে
কাদের নওফেলের পর বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন ‘ভুয়া’ - গ্রেপ্তার করলে আগে আমাকে করুন : পুলিশকে শাহেদ
- আইভীর নড়াচড়ায় শামীমের দৌড়ঝাঁপ
- আইভীকে দেখে চলে গেলেন হাই-বাদল
- বাবুর রাজ্যে শামীমের হানা !
- শামীম ওসমান কেন, কাউকেই মনোনয়ন দেইনি : ওবায়দুল কাদের
- শামীমের ওসমানের শপথ কাজে আসেনি
- আসছে জাকির খান, থাকছে রাজীব-মোশারফ
- নৌকা মার্কায় কিভাবে নমিনেশন পান দেখা যাবে : বাদল
- আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল
আলোচনায় নারায়ণগঞ্জের ৮ নেতা - ডিসবাবুকে গ্রেপ্তারের পর এসপি কার্যালয়ে শামীম ওসমান (ভিডিও)