শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আড়াইহাজারে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র: কমিশন বাণিজ্য, বাড়ে চিকিৎসা খরচ

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ৫ মে ২০১৭

আড়াইহাজার প্রতিনিধি : আড়াইহাজারে গড়ে উঠেছে নামে-বেনামে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার ও প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে চলছে কমিশন বাণিজ্য। আর তাদের কমিশন বাণিজ্যের প্রধান টার্গেট হয়ে উঠেছে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। কমিশন বাণিজ্যের কারণে উপজেলার সাধারন মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, এক শ্রেণির নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত অর্থলোভী চিকিৎসকরা পরোক্ষভাবে সরকারী হাসপাতাল থেকে রোগী পাঠিয়ে সহযোগীতা করেন স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোকে। বিনিময়ে তিনি কমিশনও পান হলুদ খামে। জানাযায়, সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারগন রোগী পাঠান প্রাইভেট ক্লিনিকে, এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর কমিশন গ্রহণ করছেন। গ্রামের গরীব দরিদ্র রোগীরা সরকারী হাসপতাল আসে ফ্রি চিকিৎসা করাতে। এসে পড়তে হয়, অসাধু অর্থলোভী ডাক্তারের গোছানো মিষ্টি কথার ফাঁদে। রোগীকে যেতে হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে, গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ, আর সেই অর্থ যোগাতে বিক্রি করতে হচ্ছে ঘর বাড়ি নয়তো বা গবাদী পশু হাঁস মুরগীসহ স্বর্ণঅলংকার। এছাড়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের, প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আগ্রাহ যোগাতে সরকারী ডাক্তারদের নিজস্ব কিছু দালালও রয়েছে, তাদের মাধ্যমে চুক্তি করা প্রাইভেট হাসপাতাল রোগী পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অনেক ডাক্তারের প্রাইভেট হাসপাতালে পিক আওয়ারে রোগী দেখার চেম্বার রয়েছে। আড়াইহাজার সদরের সব হসপিটালে রোগী পাঠানো হয়।গুরুত্বপর্ণ রোগী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করার মতো সরঞ্জাম রয়েছে কিন্তুু নষ্ট বলে রোগী পাঠানো হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। আড়াইহাজারে স্বাস্থ্য সেক্টরে কমিশন বাণিজ্যের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও এটি বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কার্য্যকর কোনো পদক্ষেপই নেই। আড়াইহাজার সদরের দুটি প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদকে বলেন, ডাক্তারা কমিশন না পেলে রোগীকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়, সে ভয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নিরুপায় হয়ে কমিশন দিতে বাধ্য হচ্ছি। তারা মনে করেন, এ কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করা গেলে চিকিৎসা ব্যয় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব।
এই বিভাগের আরো খবর