বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বন্দরে ১নং ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭

যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম (বন্দর) : বন্দরে ১নং ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির অসাধু সদস্যদের কুকর্ম ও অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাসিক ২৬ নং ওয়ার্ডের ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা মন্দিরের অর্থ সম্পদ লুটপাট, নিরীহ হিন্দু পরিবারকে জায়গা দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ, মাদক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। কেউ তাদের এই অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই মিথ্যে মামলাসহ নানা রকম হয়রানীর শিকার হতে হয় বলেও জানায় তারা। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, ১নং ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বর্তমান কমিটির কার্যকরী সদস্য সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার গনেশ রাম কাসু, বিশিষ্ট ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারী সাধারন সম্পাদক ভোলা রাম চৌহান, শ্যামল বিশ্বাস, গৌতম পাল, রাজিব রায় রাজু, সঞ্জয় কর্মকার, নারায়ণ চন্দ্র দাস ও সুশীলসহ তাদের সহযোগীরা মন্দিরের অর্থ সম্পদ লুটপাট, আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দূর্নীতি এবং মাদক ব্যবসার রাম রাজত্ব গড়ে তুলেছে। r তারা মন্দিরের অভ্যন্তরে জায়গা দেয়ার কথা বলে অনেক অসহায় গরীব হিন্দুদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। পরবর্তীতে ওইসব দরিদ্র পরিবারকে জায়গা দিতে না পারলেও অনেক সাবলম্বী ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে বহুতল ভবন নির্মানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেবত্তর সম্পদে স্থায়ী ভাবে কোন স্থাপনা নির্মানের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তারা বিপ্লব দে ও সুনিলসহ আরো অনেকের কাছ থেকে অর্থ হাসিলের মাধ্যমে ভবন নির্মানের অনুমতি দিয়েছে। এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি মন্দিরের পুকুরের মাছ, গাছ এবং অন্যান্য সম্পদ আত্মসাৎ এবং মাদক ব্যবসা চালিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। তারা আরো জানায়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পরিত্যক্ত খাস জায়গা গুলোতে গরীব অসহায় ভিটে মাটিহীন হিন্দু পরিবারের সদস্যদেরকে বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে দুর্নীতিবাজ কমিটির সদস্যরা মোটা অংকের বিনিময়ে স্বচ্ছল পরিবারকে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। পিন্টু, বিমল, মদন বিশ্বাসসহ এমন অনেকেই জায়গার জন্য টাকা দিয়ে জায়গা পাচ্ছেনা। এই অসাধুরা মন্দিরের অনুদানের টাকায় সৃজনী মাল্টিপারপাস নামে প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এলাকায় সুদের ব্যবসা করছে লোক চক্ষুর অন্তরালে। এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বরাবরে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে আবেদন করা হলে তিনি আশ্বস্ত করে মন্দির কমিটি বরাবর চিঠি প্রেরণ করে। তারপর থেকে এই অসাধু ব্যক্তিরা আরো বেপরোয়া হয়ে অত্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে প্রকৃত রহস্য। তাই এই অত্যাচারীদের হাত থেকে ভুক্তভোগী অসহায় হিন্দু পরিবারের লোকজনকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এই বিভাগের আরো খবর